চোখে কেনো বালি পড়ে বুঝিনাতো ঠিক, নয়োনে জলে ভরা, বেদনা ! সেটা কি? ভালো কথা তিতো লাগে শত্রুর মুখে। হাতে কাছে পেলে তাকে, চড় ঘুষি বাদ কি দিতে ?
চোখে কেনো বালি তুমি জানো কি? পাড়ার হারু বলে ওঠে, চোখে বালি; ধোঁকা দিয়ে ব্যাথা পাই, তাকে চোখের বালি বলে। না এটাও তো হতেপারে সমস্যা ছিল চোখে!না তবে শোনো , বলছি ধীরে ধীরে -
সে অনেক বদলে গেছে, সময়ের স্রোতে ভেসে, পাহাড়ের চূড়া হতে সমুদ্রের কোল ঘেঁষে। চোখের দৃষ্টি নাহয়, ছন্দে নাহয় রং, তার হৃদয়ে যে রূপ, এখন এক নতুন সুরের গান।
এক সময় সে ছিল, ফুলের মতন সরল, মনের কথা সহজে বলত, বিনা কোনো ঝামেলায়। এখন সে যেন এক রহস্যময় ছায়া, যার অন্তরে লুকানো এক অজানা কাব্যের পাতা।
তার হাসিতে এখন নেই সেই প্রাচীন সজীবতা, তার কথায় নেই আর সেই মিষ্টি সুরের নৃত্য। সময়ের সাথে সে হয়েছে আরও গভীর, তার হৃদয়ে জমেছে এক নতুন চিন্তার ঢেউ।
সে বদলে গেছে, তবু তার অন্তরে, লুকানো আছে এক পুরোনো মনের স্মৃতি। তাকে ছুঁতে গেলে এখনও পাওয়া যায় সেই সুর, যা এক সময় ছিল একান্ত আমাদের।
আজ আর নেই কিছু, বালির ঝড়ে ঢেকে গেছে সবকিছু। বালি হয়ে মিশে গেছে আমার সবটুকু,
তাই চোখে জল আসে পড়ে টুপ টুপ। হ্যাঁ বুঝেছি
চোখে কেনো বালি বুঝেছি এবারে।