(আমার প্রভুভক্ত সেই কুকুরকে)
জন্ম সূত্রেই সে ছিলো অটিষ্টিক। এই হাতে তাকে বড় করেছিলাম। নিজ হাতে নিজের ভাইয়ের মতো। আমাকে ভালোবাসতো খুব। যেটুকু ভালোবাসা দিয়েছিলাম তাঁকে-তার চাইতে বেশী। সে নাই বারোটি বছর। ভুলতে পারিনি তাঁকে।
শীত-গ্রীষ্ম-বর্ষায় তার সাথে ছিলো ভাবের গভীরতা। গভীর রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে সে জেগে থাকতো-তাঁর মুনিব আসেনি। বাতাসের কানে যখন শুনতে পেতো আমার গানের গলা-উন্মুখ সে অসুস্থ শরীর নিয়ে ছুটে বেড়িয়ে আসতো। ঘরে না ঢুকা অবধি সে থাকতো আমার পেছনে লেজ নেড়ে অনুগত।
তাঁর একটি সুবিন্যস্ত বাহিনী-আমার মা তাঁকে খাবার দিলে-ভাগ করে খেতো তাঁর অনুগতদের সাথে। তাঁর জগত ছিলো বৈচিত্রময়। মৃত্যুর আগে সে আমার গর্ভধারিনী মাকে সুরক্ষা দিয়েছিলো। আর সে আমার মাকে বাঁচিয়েছিলো জলাতংক কুকুরের কামড় থেকে। জলাতংক রোগাক্রান্ত কুকুরের সাথে শেষ লড়াইয়ে-সে জিতেছিলো। কিন্তু সে বিদায় নিয়েছিলো আমাদের সংসার থেকে। মরার আগে সে প্রমান করে গেলো-পশুও প্রভুর জন্য জীবন দেয়। ভালোবাসা মনে রাখে।