নাম রেখেছিলাম তার অন্তরাক্ষী
ময়ূরাক্ষী নদীটির সাথে মিল রেখে
ময়ূরাক্ষী নদী বাঁক নিয়ে চলে গেলে
পেছনে চর পড়ে থাকে–যেন দুঃখ সংকেত।
আর অন্তরাক্ষী খলবলিয়ে হেসে উঠলে
ময়ূরাক্ষীর বুকে যেন ঢল নামে
দূরস্ত চর ডুবে যায় নিমিষে ডুব জলের মাঝে।
ময়ূরাক্ষী যখন বর্ষাকালে মাঝে মাঝে তেতে উঠে
অকুল প্লাবনে ভাসিয়ে নিয়ে যায় সব
কষ্টের সমূদ্র নেচে উঠার মতো
থইথই ঢেউয়ের পর ঢেউ এসে দু কূলে আছড়ে পড়ে
বর্ষাস্নানে বিমগ্ন অন্তরাক্ষী তখন দেহের ভাঁজে ভাঁজে কবিতার ঝর তোলে
ভেজা হাওয়ায় নিমিষে উড়িয়ে দেয় মেঘকৃষ্ণ কেশ
ঠোঁটের দহলিজে তোলে নিমগ্ন হবার সুর।
ইচ্ছে ছিলো একদিন অন্তরাক্ষীকে নিয়ে ময়ূরাক্ষী নদীতে নাও ভাসাবো
স্রোতের টানে যেতে যেতে বহুদূর–কোন এক নির্জন বদ্বীপে নোঙর খাটাবো
তারপর শান্তির বরফজলে লালিত ইচ্ছেগুলো যা আছে ছড়িয়ে দেবো
সবুজে সবুজময় হয়ে উঠবে আমাদের পৃথিবী।
অনেক ইচ্ছা পুরণ হয় না পূরানো হয়ে যায়
ময়ূরাক্ষী নদীর বুকও একসময় শুকিয়ে যায়
আর অন্তরাক্ষীদের বুকের কর্পূর ভালোবাসা উবে যায়
চোখের মাঝেই এক সময় কষ্টে জেগে উঠে ময়ূরাক্ষী নদী।