দগ্ধ হবার ইচ্ছায় বারবার তোমার কাছে যাওয়া
রোদের দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে দাঁড়ানো কিংবা উনুনে হাত রেখে
নতজানু হয়ে শীতদেবতার কাছে প্রার্থনা ভঙ্গীতে বলা-
মহাশয়,আপনি আবার আসিবেন-এইবারের মতন
সাধের কাঁথা-কম্বল সব পাঠিয়ে দিলেম কারের প্রবাসে।
মহাশয় ফাগুনের নামতা মুখস্ত করছি বেশ কটা দিন ধরে
মনে রাখতে পারিনা ; বিস্মৃতির দৌরাত্ব বেড়ে গেছে মগজের কুড়েঘরে ।
শালিক চুড়ুই বেঁধেছে বাসা-ইহাদের নিত্যকার কর্ম হইলো পিটিস পিটিস
ডেকে সকালের সাধের ঘুম হারাম করিয়ে রোদের চুম্বনে গাল দুটো
রক্তাক্ত করার ফন্দিতে ব্যতিব্যস্ত থাকা । উফঃ ইশ্বর বাঁচাও আমাকে---।
আর তোমার কর্ম হইলো রাতভর তোমার উনুনে দহন-রতিক্রিয়া শেষে
আরো দহন করবে বলে ভেজাচুল ছেঁকে ঘুম ভাঙ্গিয়ে হিঃহিঃ করে হাসা ।
আর আমার অসহায় পুতুলের মতো তাকিয়ে থাকা,
তোমার গাল দুটোতে নদীর ঢেউয়ের মত ভাঁজ খেলে যায়
টোলের আবীরে আবেশে চোখ বিভোর করে রাখে কী যেনো !
আমি বিবশ পৃথিবীর মত তোমার বুকে ক্যাকটাস -লাবন্য পুজা করি;
করতলে জ্বলে ফাগুনের আগুন আমি পুড়ে পুড়ে কাবাব হয়ে যাই নিত্যদিন ।