ধানখেত ডুবে গেলে কার কি আসে যায়
মানুষ না খেয়ে থাকুক তাতে কার কি আসে যায়
ধানের দর আটশত-পঁচে গলে যাক
সোনালী ধানের রেণূ আর চুম্বন দিয়ে না যাক
কৃষাণীর তামাটে মসৃণ গালে।
দিবসের শেষে কৈবর্ত জলে নেমে আসবে যখন কিশোরী হাওয়া
সৃজণী ঢেউয়ের গান শুনতে পাবে
ভাট পদ্মের হৃদয় জুড়ে নগ্ন কবিতার উচ্ছ্বাস উন্মাদনা
বিপুল প্রগাঢ়তায় হাওরের ডাঙাপাড় খুঁজতে থাকে
কেবলি অথৈজল ; ডাঙাহীন এই ঢেরাতটে কেবলি বেদনা
মানুষ কোথায় যাবে-হাওরের পরতে পরতে মিশে থাকা প্রেম
তাড়িত মানুষগুলো তবুও আশায় আশায় বুক বাঁধে
একদিন জল নেমে যাবে-মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে নূয়ে পড়া ধান
সে আর উঠে না। কৃষকের দুঃখও ঘুচেনা
ভোরের সূর্যের মতন হেসে উঠে না কৃষকের মুখের হাসি।
বছর বছর নেমে আসবে ঢল
অথচ নদীচুক্তি হবে না
পাওয়া হবে না জলের হিস্যা
কোথা থেকে আসে এই অপ্রত্যাশিত জল?
তবে নদী কেন মরে যায় -প্রশ্ন থেকে যায়
হায় দূঃখবোধের জল-
চোখের জল ধোয়ে যায় না কেন তোমার জলে।