সাম্প্রতিক লেখা টুকরো কাব্য
// রিয়েল আবদুল্লাহ
|| ঘুষ ||
ডি আই জি ঘুষ দেয় দুদক কর্মকতাকে
আহা ঘুষ দিয়ে যদি
কেনা যেতো আরেকটা বাংলাদেশ।
|| প্রেমিক ||
নুনাজলে স্নান করে সিদ্ধার্থ হতে চাওয়া বীরপুরুষ।
|| প্রেমিকা ||
বকুল ফুলের গন্ধকে পারফিউম ভেবে ছুড়ে ফেলে দেয়।
|| মেয়ে ||
ঔরসজাত , গোলাপ কিংবা কস্তুরী গন্ধময়। মা।
|| ছেলে ||
একটি ছড়ি। বাহুবল। বেঁচে থাকার প্রেরণা। অন্ন সংগ্রাহক। এবং বাবা।
|| মা ||
গরম ভাত বেড়ে অপেক্ষমান মহিয়সী নারী।
|| বাবা ||
বৃষ্টি ভেজা শীতের রাতে বাসস্ট্যান্ডে সন্তানের অপেক্ষায় দাড়িয়ে থাকা এক মহান পুরুষ।
|| স্ত্রী ||
যে আঁচলে বেঁধে রাখতে ভালোবাসে। লালচোখ শাসনে জড়িয়ে রাখে আমৃত্যু।
|| কবি ||
দুঃখ থেকে জেগে ওঠা এক পদ্ম। সৌন্দর্য বিলায় অথচ নিজে থাকে গন্ধবিহীন।
|| শিশু ||
সে যে দেশেরই হোক হাসিটা তাঁর একই রকম। ইনোসেন্ট।
||সংগঠন ||
কবি বানাতে পারে না কবিদের চেনায়।
|| সংস্কৃতি ||
ধর্ম এলেই উধাও হয়ে যায় সংস্কৃতি। বাজেট বরাদ্ধ শুন্য হয়। ধর্ম কি তবে সংস্কৃতির বাইরে।
|| ডি আই জি ||
দুদুকের চাইতে শক্তিশালী অবশ্যই । ঘুষ নিলে চাকুরী চ্যুত হয়। ঘুষদাতা তব্যিয়তি কেউ।
|| বাজেট ||
কবিরা না খেয়ে থাকলেই রাষ্ট্রের মঙ্গল। কবিদের জন্য কোন বাজেট বরাদ্ধ নেই। রুগ্ন কবিরা মাথা তুলে দাঁড়াতে যেন না পারে ফ্রান্স।
|| ঠিকাদার ||
ঠিকাদারের ব্যাংক ব্যালেন্স ফুলে ফেঁপে কলাগাছ — উন্নয়নের বাতাসে উড়ছে দরপত্রের সোলেনামা।
দেশ থেকে রাতারাতি উদাও মহামারী চুরি
উন্নয়নের জোয়ারে বাড়ে ঠিকাদারের ভুড়ি।