প্রদর্শনী কখন শেষ হয়েছে সে খবর আর রাখা হয়নি. বাইরে শীত কুকরী নিয়ে বসে.মধ্যরাতের প্রান্তিক কলকাতায় আমি এবং মীরা. কিছুক্ষণ আগের নীলের উওাপ ঠান্ডাকে কিছুটা সামাল দেয়. আমার উষ্ণ শোণিতে বয়ে চলে মীরার নিশ্চিত অনুভব আর ভালোবাসা বুক পকেটের পিছনের সেল্ফে বাঁচে.
কয়েক টুকরো সূর্যের বিকিরণ এখনও শহরের রাস্তায় অব্যাহত. সুগন্ধি ভরপুর দেহ এখন আমার কাঁধের শরণার্থী. আমার হাতকে জড়িয়ে মীরার হাত, শ্বাসকে জড়িয়ে নিঃশ্বাস ক্রমশ ঘন হতে থাকে. সহমর্মী কুয়াশারা স্কেলিটনের অহংকারী হৃত্পিণ্ডে প্রলেপ দিতে ছুটে আসে. দুরন্ত গতিতে ছুটে চলেছে কলকব্জার মিটার. কিন্তু কেন জানিনা প্রথম পুরুষের সেঁকি ডায়লগটা জিভ দিয়ে হড়কে গেল "আচ্ছা মীরা , সারা জীবন এরকম কাঁধে মাথা রেখে থাকবি তো"? অনাবশ্যক সংলাপে ও কাঁধ থেকে মাথা তোলে. আমার চোখ মীরার চোখে খুঁজতে থাকে সাবালক প্রতিশ্রুতি. মায়াবি যৌবনে ফুটে ওঠে গজ দাঁতের চিলতে হাসি.
আজ বুঝি সে হাসির মানে.