আমি শূন্য হতে এসেছি
শূন্যে আমার বাস।
শূন্য থেকে খাই আমি,
শূন্যে নিঃশ্বাস।
শূন্য আমায় দিয়েছে জন্ম,
করেছে আমায় ধারণ।
দিয়েছে পেতে সর্ব সে যে ,
করেছে আমায় পালন।
শূন্য আমার নরক,
শূন্য আমার স্বর্গ।
শূন্য যে দান করে আমায়,
উপহার অগণ্য ।
চন্দ্র- সূর্য গ্রহ তারা,
শূন্য সেসব ছিল সদা।
সাধুতায় আজ বাঁচছে যারা,
নির্বোধ, বোকা তারা।
রঙধনুতে রাঙতে হলে,
শূন্যকে হবে বাসতে ভালো।
শূন্য নিয়ে থাকতে গেলে
অন্ধমনা না হয়ে,
থাকা যায় কি বল?
বিদেশ যেতে মেধা কই?
উপায় কি তবে শূন্য বৈ?
তাইতো বলি সর্বময়
শূন্যের যেন জয় হয়।
বাবুই পাখি বুনে যায় নিদর্শনের বাসা
অতগুলি চোখ নিয়ে কেটে যায় মশা।
সূর্যমুখী , বেলি বা হলুদ কোন গাঁধা
চোখে আমার সবি যেন বিবর্তনের ধাঁধা।
জন্ম- মৃত্যু - দুঃখ- বিষেদ
ভাগ্য তবে কি সে?
শূন্য তো সব করছে বেশ
প্রকৃতিতে মিশে।
'এক' - এ আমার বিশ্বাস নেই
শূন্যে ভালবাসা।
শেয়াল আমি, ক্লেশ নেই
লেজটা আমার ছাঁটা।
********************
সত্য যখন হার মেনে যায়
লালসার কাছে।
মিথ্যে তখন যুক্তি হয়,
সংশয়বাদীর কাছে।
ইহকাল যদি থাকে তবে
পরকালও আছে।
জন্ম যদি হয় কভু
মৃত্যুও জানি হবে।
সত্য সেই এসেছে কবে
মিথ্যের শেকল তুলতে।
রহমতের বাণী যে হায়!
যাচ্ছে সবে ভুলে ।
ধুলোয় জানি একদিন মেলবে এই ধরা,
বিদায় বারতা রোজ নাড়ছে শত কড়া।
কলিযুগের কালসাপেরা- পথ ভুলেছে,
হয়েছে দিশেহারা ।
সব ভুলে তাই ছড়ায় হিংসে ,
তুলে বিধ্বংসী ফণা।