শাওন সুধা বারি বাঁশরী
কখনো তো থামবে।
হয়তো যখন পাতালপুরী
জেগে উঠবে স্লীপিং বিউটী।
আকুল ভেবে
তমাল বনে মগন মাধবী।
এমন ও তো হতে পারে
কোনো এক চৈতি সাঁঝে
বাদলতলার সুরারণ্যে তেজী
আকাশ পারের ঐ কিরণমালী
সূর্যদীঘল দীঘি মাঝে
শতদলে সব নীল ঝুরি
স্বর্গে দিবে পাড়ি
শুধু হাতে বহি তারার ঝুড়ি।
মাথার উপরে রবি বিহীন
কালো শশী রাতে কি আর ঝুলবে
জোনাকমালা রজনীগন্ধার ডালে কে জানে।
কোথাকার কী এক আজব
সুর দোয়েল ঢুকিয়ে ভুবন গগন
কর্ণকুহরে চলিবেন ইস্রাফিল অবশেষে।
সব স্মৃতি ভুলে চিরসবুজ নীড় ছেড়ে
চলিবে অবাক মহি অধরা ওপারে!
এ কি মহাপ্রলয় না প্রত্যাবর্তন চিরচীনা ঘরে?
সিন্ধুতল ঝাড়িয়া কালবৈশাখী
তলানির জল অমৃত সুধা ঢালে
আর কি পারে ফুটাবে বাক ঐ অবাক কণ্ঠে।
পৃথিবীর শেষ রাত ভাই পোহাক
কিবা না গোলাপে বুলবুলি গাহিয়া
জীবন ঊষার নীলরহস্য সিন্দুক জুড়িয়া
ক্ষপার বুকে রহিবে ভরিয়া।
অকুল সুখে সারা স্বর্গ জুড়িয়া
নিরবধি বহমান সালসাবিলা
তাই হয়তো একদিন
দেখিবে বিস্ময় নেত্ৰে
পরম সত্যের দিদার লাভে
পারে বসা এক বিধুর সখা
তখনো তাঁর চোখে পরা
বিদেহী পৃথিবীর ঝরনাতলা
সুরমা পারের একফোটা সুরমা।