মাহে রমজানে
বেলা শেষে গোধূলি পাড়ে।
দোর খোলা দিগন্তে ফিরদাউসের
আলোয় জ্বলা সুরমা চূড়ায় বুঝি
সন্ধ্যাতারা একঝলক বেহেস্তী চুমকি।
এমন মোক্ষম ক্ষণে কি মনে করি
ফিরে তাকালে সজনী।
ধেয়ে আসে সাঁঝ বেলা
ঝরা ফুলের অফুরান লালিমা মাখি।
আলতো কমল রঙে ধ্রুপদী বিভঙ্গে
সেজে ফুটে সন্ধ্যা মালতী
দেখি তোমার পুণ্য ললাটখানি।
যে সূরার সুর তুলিতে
রাতভর মহড়ায় মগন ডাহুকী
মুখর দিনের ঝিলে তা কী পায় পানকৌড়ি?
তুমি পড়ন্ত বেলায় সারা দিনের নজরকাড়ি
কী নিয়ে এলে হাত ভরি?
শিশির লয়ে নিথুয়া পাতায়
সে কোন কাননে ফুটেছিল এই প্রভাতী
ভোর প্রাতে শীধুভরা ফুল গোলাপী?
এ কী মহুয়া মধুমাখা পাপড়ি
উজাড় করি শিশির দিলি ঢালি
রোজাদারের পাত্র ভরি, সজনী
এতো মধুর লাগে ইফতারে একফোঁটা পানি!