সারা বাংলা ঘুরে বেড়াবো আশা ছিল অতি
পূর্ণিমায় পূরণ হয় আকাশের পহেলা তিথি
জানিনা কভু কি পূর্ণ হবে আমার এই বাসনার শশী?
মনে হল কোনো ধাঁধা না জট খুলে খুলে বলি
কেন এই দেশের উপমা দিতে চাঁদের ছবি আঁকি।
আগে কি জানতাম এই বাক্যবাগীশ গল্পের আবৃতি
আখ্যানের মহড়া রাতেও যায়না করা একাকি
আন্ধার ফাঁকফোকর দিয়ে ভেসে আসে যতনা জোনাকি
হাওয়ায় আতর ঢেলে রজনীগন্ধা আঁখি মেলে চুপিচুপি।
দুপুরে ছিল লাল শালুকের পুকুরে জলরঙের মিহী মেলা
রঙে একাকার পাড় পানিতে আকাশের নীল ছায়া
সরোবরে নেমে পদ্মফুলে ঐ নীলাভ জলরঙ তুলি
আকাশি রঙ আসমানেই নিয়ে যাবে নীলপরী।
রঙ বিনিময়ে কেমনে রঙ না লেগে স্নান করে যায় নীলাম্বরী
তাই ভেবে নির্বাক দিন দুপুরে চাক্ষুষ সাক্ষী লালপরী
আরেকটি আচমকা গল্প বলতে আমি আর মুখ খুলিনি।
তামাটে কালো নিশি রাতের কপাল এতো কি ভালো
তাতেই যে খুলে জমকালো অদৃশ্যপার তারা চমকালো।
এক তিলক ছায়াপথে কানায় কানায় তারা জ্বেলে দীপালি
টিক বিপরীত গোল্ডেন রেসিও সই উঠে শশী ঝরে চাঁদিনী
যদি পেয়ে যায় রাত কালো সিন্দুজল তলানির এক ফোঁটা পানি।
পটভূমিতে সূর্য আলোমাল্য নিয়ে অবগাহে জোছনা শিশিরে
আঁধারে পুড়ে গহীনের ভিড়ে চলা অবিনাশী ইঞ্চি নিখুঁত ধ্রুপদী
অস্পর্শী আবেহায়াত কুয়োতলে চির ফাল্গুনী জীবন সুধা সন্ধানী
ঐ অগ্রদূত চাঁদেরই মতো বেমিসাল রূপসী আমার মাতৃভূমি।