সুবহে সাদিক
রক্তিম আভায় ভয়ংকর সুন্দর ক্ষন,
কিসের সন্ধানে অতৃপ্ত, অস্থির এই মন?
দেখা হয়নি বহুদিন, সঞ্চয় করে জীবনের ঋণ,
অনুভবে ঐশ্বরিক, ‘প্রস্ফুটিত সুবহে সাদিক’!
স্নাত অলৌকিক মায়াবতায়, মোহিত অনুপম অসীমতায়।
বিস্মিত না নির্লিপ্ত? রিক্ত আমি নিবেদিত।
ভাঙ্গায় শয়ন, আলস্য বিদায়ে,
বিনীত প্রাণ এক আল্লাহর নামে,
নুহ্য শির সেজদায় রয় আপন প্রভুর নৈবদ্যে।
ভিত না শঙ্কিত? বাক্যহীন আমি অন্তরীক্ষ!
এই প্রশ্ন কার?
আপন ভক্তি দিয়েছ প্রভুরে
না লয়ে তাদের ভার?
যারা কাঁদে নীরবে, না করে অভিযোগ,
আপ্লুত হয়েছো কখনো, ত্যাগ করে সম্ভোগ?
জীবনে যখন শুকায় সলিল কষ্টের যাঁতা কলে-
নিরবধি কেন তারাই জ্বলে শোষণের অনলে?
শুনছো কি একবার,কারোও করুন আর্তনাদ?
ধ্বনিত হয় কি অন্তরে, তাদের বিষম দুঃখবাদ?
স্থিতধী আর প্রত্যয়ী তুমি সর্ব কাজের তরে?
চিনেছ কি আপনারে আজ সুবহে সাদিকের ভোরে?
বিস্মিত হন প্রভু, ‘সুনিপুণ ভিন্ন রূপ’!
পূর্ণতা কোথায়? প্রবৃত্তি যেথা-প্রতিশ্রুতির বিপরীত?
অহমিকার অভিনিবেশে হৃদয় যখন মগ্ন,
উদাসীন মন নিবিষ্ট হয় কোন আবেগে মত্ত?
খুঁজে নাও আপনারে শুভ্রতায় দীক্ষাতে,
অবগুণ্ঠন সরায়ে আলোয় রাঙাতে।
অস্বচ্ছতার অন্তরাল হতে মুক্তি দাও 'আমি' রে
সৃজন করো নতুন অধ্যায় সুবহে সাদিকের প্রবর্তনে।
ফারহানা রুনা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র