অবাক মাতৃত্ব!বিস্মিত ভুবন!
প্রথম প্রভাতে শুভ্র মনন।
ছোট হিন্দোল দোলে নিপুণ,
উদ্বেলিত হৃদয়, তৃপ্ত জীবন!
মাতৃ জঠরের অবগুণ্ঠিত কঠোর,
প্রতিটি ক্ষনের স্পন্দন রোপণ,
জরিয়ে আছে পুলকের ইন্ধন,
মায়ের সত্তায় অস্তিত্বের বন্ধন।
প্রসব বেদনার কাতরতা
আগমনী নিথর অস্থিরতা
কাঁপে কায়া বিহ্বল আবেগে
ছোট্ট শিশুর প্রথম ক্রন্দনে।
জাগে মায়ের অতুল শক্তি
ভুলে যায় সব হিসাব যুক্তি
নিত্যদিনের ক্লান্তি নিবারণে
গড়ে সন্তান নিষ্ঠা নিবেদনে।
হয়না কেন অলিক স্বপ্ন প্রাতে?
কেন ছোট্ট শিশু সারাজীবন
রয়না মায়ের কাছে?
কেমন করে দিন চলে যায় বয়ে?
সন্তান রে একটিবার স্পর্শ না করে?
‘এতো কাজের তরে অবদান- তোমারই শিক্ষাতে,
বাধাহীন বিচরণ তাই পথের দীক্ষাতে।
দিনের আলো রঙিন হয় তোমার আশীর্বাদে,
যেথায় থাকি, আছি সদা তোমায় নির্বিশেষে’।
মায়ের ব্যথা বিদিত শুধু অনুভব, অনুরক্তে,
শোধ করা যায় না কভু কোনও প্রতিদানে।
ভালবাসা বইছে যে কালের নিমন্ত্রণে-
মা হয়ে তা উজাড় করি আপন সন্তানেরে।
নতুন অধ্যায় রচিত হয়-সন্তানের-ই দায়
এতো মায়ে-মায়ে চক্র ধারা আবর্তিত হায়!
সুখ-দুঃখ মিলিয়ে দহে চলে সম ভাবে,
জয় মাতৃত্ব! যুগে যুগে, মানবের বন্ধনে।
অবাক মাতৃত্ব!বিস্মিত ভুবন!
আছে কি এর চেয়ে উত্তম?
তনয়া পায় মাতৃত্বের অলংকার,
জগৎ নির্বাক মাতৃত্বের নিঃস্ব ভার!
(ফারহানা রুনা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র)