একাকী মন অচকিতে ভাবে, কেন এমন হয়?
প্রাণের’পর এ কোন আঁচড়? মায়া ই সর্বস্বয়।
রয়না শুধু ভালবাসা; আসে ব্যথা অগোচরে,
কাঁদায় শুধু এ প্রানেরে তব অতল অভিসারে।
কোথা হতে আসে না কেন সেই ডাক যেন সুরে?
বলে না কেউ আর; কেমন আছি এই সংসার জুড়ে?
একটুখানি শব্দ চয়ন; না হয় সম্পূর্ণ নীরবতা,
এরই মাঝে বুঝে নিত আমার স্বরূপতা।
“কোথায় তোমার কণ্ঠধ্বনি?কোথায় সমন্বয়?
গোপন করে রেখেছ সকল অব্যক্ত সংশয়?”
নীরব আমি চিরকাল অবধি, করিনি প্রকাশ সমস্বরে,
আনন্দ বা বেদনা হোক, রেখেছি সর্বস্ব করে।
থাকুক আমার অপ্রস্ফুটিত বানী, থাকুক মম অন্তরে,
তুমি আমার “অদ্বিতীয় মানব”, বেঁচে আছো হৃদয়-মন্দিরে।
আমি শিশু জানিনা কবে বড় হয়েছিলাম,
হাটি-হাটি, পা-পা করে তোমার হাতটি ধরে ছিলাম।
সে ধরাতে শিখিয়েছিলে কেমনে বাঁচতে হয়,
মরে গেলেও জীবন যেন বেঁচেই জেগে রয়।
“সত্য নিয়েই কঠিন হবে, শান্ত থেকেই দৃঢ়ই হবে,
সহজ থেকেই দীপ্ত হবে, শাশ্বত রূপে ই ধরা দেবে”।
তাইতো জানি কেমন করে লড়তে হবে আজও,
কেমন করে পাড়ি দিব স্রোতের পরের স্রোতও।
ছোট হতে ছিল যত আবদার আর আহ্লাদ,
মিটিয়েছ সকলই তুমি আজীবন মোর স্বাদ।
হয়নি বলা অনেক কিছু স্বল্প সময়ে,
নেয়নি কোনও ভার আজবধি তব তোমাতে।
শেষ যেদিন দেখা হল মাথায় দিলে হাত
বুঝে নিলাম আমি তোমার ‘বাক্যহীন সংলাপ’।
জানি ভালবাসা নিন্মগামি চলে নিরবধি
পেয়েই যাবে অগোচরে মোর উতরাধিকারি।
বড় শুধু করেনি যা - শিখিয়েছে বড় হতে
আমার সন্তান যেন তা ধারণ করে মোর পিতা রহে।
ড. ফারহানা রুনা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র।
প্রথম আলো প্রকাশকালঃ ০৫ আগস্ট ২০২০, ১৫:৫৯