কোথায় যেন সময়টা থমকে আছে,
সন্ধ্যা মিলিয়ে রাত্রির নামার মাঝে,
ঠিক যেন সৃষ্টি আর প্রলয়ের কাছে,
হাতছানি দেয় আবীর রাঙ্গা আকাশে।
হেমন্ত এসে গেছে!
প্রকৃতি অস্পষ্ট গম্ভীর সাজে,
নীরবতায় রেখেছে গভীর আবর্তনী
সমর্পণ করে ভক্তিভরে প্রণতি।
তুমি কি শুধুই হেমন্ত!
নাকি কুহকী'র অস্তিত্ব!
আবেগে শিঞ্জিত মহাবিশ্ব রাজি,
মানব-মানবী কে করে ভুবন-মাঝি,
ধরা দাও অনন্ত নান্দনিক শোভা,
প্রকাশ করে প্রাণের বিষণ্ণতা।
বিনম্র তুমি হেমন্ত গোধূলি!
সাঁঝের আকাশে সতত রং তুলি,
শান্ত, নিশ্চল, ঐশ্বরিক, মায়াবী রূপে,
আগমনী তুমি শৈশব-কৈশোর বাড়িয়ে,
মিলিয়ে দাও অনুভবে প্রেমের প্রথম ছোঁয়া,
জয় করতে মানব অন্তরে নন্দিত মায়া।
দিয়ে সংসার আর সন্তানের ভালবাসা,
বিদায় আবার কেড়ে নিয়ে যাও প্রিয় জনের ভাষা।
কতো প্রাণ আজ স্তম্ভিত আপন হারা শোঁকে,
হাহাকার যেথা চারিদিকে হতে বিরাজমান কষ্ট দহে।
কেমনে আছো সমীচীন তোমার নিস্তব্ধতায়?
প্রাণের’পরে এত ক্ষত- তবু রয় কেন নীরবতায়?
সময়টা কি নিথর রবে, শুধুই মৌনতার?
হেমন্ত সন্ধ্যার এক অলৌকিক শূন্যতায়?
কাঙ্ক্ষিত দোসর তুমি, হেমন্ত!
প্রাণে দাও নির্মল আলো, আঁধারের অন্তর্দাহ।
ড.ফারহানা রুনা, ক্যালিফোর্নিয়া, যুক্তরাষ্ট্র