হারিয়ে গেছে সোনালী সকাল,
নেই আর মাটির সেই আঙিনায় দৌড়ঝাঁপ কাল।
ঘাসের বুকে শিশির ফোঁটা,
জোনাকির আলোয় স্বপ্নের ছোঁয়া—
সবই যেন ফেলে আসা দিন,
ফিরবে না আর কোনো ঋণ।
ছিল এক সময়, বাঁধনহারা জীবন,
হাওয়া ছুঁয়ে ছুটতো প্রাণ, ছিল না কোনো বারণ।
সাইকেলের চাকা ঘুরতো স্বপ্নের মতো,
নদীর জলে গড়াগড়ি, মন পড়তো যে হঠাৎ কোথাও।
কাদায় লুটিয়ে, বৃষ্টিতে নেচে,
শৈশব কেটেছে খুশির বেশে।
ডাংগুলি, গোল্লাছুট, কুতকুতের খেলা,
সন্ধ্যার আগে মাঠে মেতে উঠতো যে মেলা।
হারিয়ে গেছে সেই দিনগুলো কোথায়,
আজকের শিশুরা বইয়ের পাহাড়ে হারায়।
স্কুলের গাড়ি, গৃহশিক্ষকের শাসন,
শৈশবের হাসিতে পড়েছে বাঁধন।
কালো রাতের কেরোসিন আলো,
বই পড়ার সময় ছিল যে ভালো।
ক্লান্তিহীন খেলায় ঘুম আসতো চোখে,
কোথায় গেল সেই স্মৃতির ঝোঁকে?
এখন তো ব্যাগভর্তি বইয়ের বোঝা,
স্বাধীনতা নেই, শুধু ছকে বাঁধা সাজা।
স্বপ্ন কি তাদের নেই আর রঙিন?
হারালো কোলাহল, হারালো আকাশ-বিহীন।
বৃদ্ধির নামে কেড়ে নিচ্ছে সময়,
সুখের শৈশব আজ বেদনার প্রহর গায়।
প্রতিযোগিতার যাঁতাকলে পিষ্ট হৃদয়,
শৈশব আজ শুধুই এক শূন্য সংশয়।
এই কি তবে আগামীর আলো?
এই কি উন্নতির সমৃদ্ধ চলো?
শৈশব মানে তো মুক্তির গান,
বাধাহীন স্বপ্নের রঙিন বর্ণান।
আসো, ফিরিয়ে আনি শৈশবের হাসি,
ফিরুক আবার সেই মাটির বাঁশি!