যদি কবর থেকে চিঠি পাঠানো যেতো,
শুধু একবার মাটি চিরে ভাষা ফোটানো যেতো,
তবে কত বাবা, ভাই, কিংবা স্বামী—
জানাতো হৃদয়ের আর্তনাদ দামি।
একজন বাবা লিখতো কাঁপা হাতে,
"মা, তুমি কেমন আছো এই পৃথিবীর রাতে?
আমি ভালো নেই এই অন্ধকার ঘরে,
প্রতি নিশা কাটে বিষাদ বিষে ভরে।
তোমার চোখে ছিল যেইটা লাজ,
আজ তার অভাবেই জ্বলে আগুন বাজ।
তুমি পর্দা করো, করো সংযমে চলা,
তোমার আভিনন্দে আমার শান্তি জ্বলা।
মা, কসম কোরো এই মৃত বাবার,
যেনো আর না হারাও সেই চিরতরে হারার।
আমার এই ঘুমে যদি শান্তি খুঁজে পেতে,
তবে একটু পর্দায় নিজেকে ঢেকে রেখো মেতে।
আমি দেখছি, জানো! ওপারে থেকেও—
তোমার চলাফেরা, হাসি, মুখরতা বেচেও।
তোমার উন্মুক্ত চলায়, আমি কষ্ট পাই,
অন্তরটা যেনো অশ্রুতে ভিজে যায়।
মেয়ে আমার, পৃথিবীটা ফাঁদ,
তোমার লজ্জাশীলতাই একমাত্র সাধ।
হাসো, চলো, বাঁচো – সব ঠিক,
তবে তোমার হেফাজত যেনো থাকে দৃঢ় ও ঠিক।
এই চিঠি পেলে যদি তুমি কাঁদো,
জেনো, বাবার আত্মা তখন স্বস্তি পায় বাদো।
কবরের ঘুমে আসে একটু নিঃশ্বাস,
যদি তুমি ফিরে পাও তোমার হায়ার স্পর্শ আশ।
স্মরণ রেখো, সময় ফুরায়, মৃত্যু নিশ্চিত—
তোমার পর্দা হবে আমার তরে আশীর্বাদ অমিত।
দেখা হবে একদিন, হয়তো জান্নাতের কোনে,
যদি তুমি চলো হায়ার পথে, এক আলোর চরণে।