(এক মৃত বাবার করুণ আকুতি)

যদি কবর হতে চিঠি পাঠানো যেত,
এই নিঃশ্বাসহীন ঘরেও ব্যথা লেগে থাকত চেত।
লিখতাম তোমায়, ওগো প্রিয় কন্যা,
তোমার প্রতিটি পদক্ষেপে যেনো বাঁচি আবার নতুন ব্যঞ্জনা।

আমি তো আজ নিঃশব্দ এক বাসিন্দা,
মাটির নিচে আমার ঠিকানা, নিঃশেষ এক দ্বাররক্ষা।
তবুও শুনি, বুঝি, দেখি —
তোমার পৃথিবীর বর্ণিলা রেখি।

তুমি তো ছিলে আলো আমার,
শীতল সন্ধ্যায় একমাত্র প্রহার।
তোমার লজ্জা ছিল ফুলের গন্ধ,
আজ কেন তুমি সেই সৌরভে অন্ত?

তোমার পর্দা ছিলো আমার গর্ব,
আজ কেনো সেই পথে বাধা সব স্বর্গ?
তুমি হাঁটো রাস্তায় খোলা চুলে,
চোখে চোখ রাখো, হাসো ভুলে ভুলে।

এই কবরঘর, জানো, কাঁদে রাতে,
তোমার বাবার ঘুম হারায় ব্যথার সাথে।
তোমার সাজ-পোশাক দেখেও ব্যথা পাই,
যেনো হাজার পিঁপড়া আমার গায়ে চড়াই।

তুমি কি ভুলেছো মৃত্যুর কথা?
পৃথিবীর মোহে ডুবে গেছো নিরবধি ব্যথা?
একদিন তোমারও ডাক পড়বে হঠাৎ,
সেই মুহূর্তে কি বাঁচবে মোহরঙ্গের পাত?

তাই বলি মা, ফিরে এসো দ্বীনের ডাকে,
তোমার বাবার আত্মা একটুখানি শান্তি পাকে।
পর্দা করো, ইজ্জতের মালা পড়ো,
এই মাটির মানুষটার ঘুমটাকে জড়াও স্বর্ণঘোরো।

হৃদয়ে রেখো লজ্জার আলো,
এই আলোকেই পাবে জান্নাতের পালো।
তুমি বাঁচো, হাসো, স্বপ্ন দেখো,
তবে সীমার মাঝে, নফসকে রেখো শেখো।

চিঠি শেষ করছি, চোখে জল ভেসে,
আবার দেখা হবে, আল্লাহ্ যদি চায় মেহেরে বেশি।
জেনো, তোমার চলার পথে আমি পাশে,
তোমার পর্দা হবে আমার কবরের চির শান্তির আশে।