কাশিরামের কাশি
ফয়েজ আহমেদ রাজু
শীতের সকালে,
বাবুরাম শুনছে রোয়াকে বসিয়া কাশিরাম কাশছে রোয়ে রোয়ে।
তাই,
বাবুরাম খুঁজছে উপায় পরিত্রাণ পাবে গিয়ে কোথায়?
শুনিল এক কবিরাজ করে চিকিৎসা,
তাড়াহুড়া করে তাই গেল সে সহসা।
কবিরাজ বলে,
জ্বিনের নাকি হাত আছে এতে, ভূতের প্রাদুর্ভাব,
নদীর ঘোলা জল লাগবে সতেরো তাবিজ তারি সাত্।
প্রাণপনে সব করিয়া দেখিলো পায়নি তবু ছাড়
কাশি কহিলো, রোগ হতচ্ছাড়া কি ছাড়বে না কাঁধ আমার!
শুনিল এক নাপিত বেটা পড়িতে পারে নাড়ি,
টানিয়া দীর্ঘশ্বাস না চেয়ে আশপাশ হাজির হলো
তাড়াতাড়ি।
নাপিত কহিলো, যক্ষ্মার ভাব না করিতে পারি সারা,
ওরে কে আছিস এথা, কর না এ হতচ্ছাড়াকে তাড়া।
বাবু শুনি কহিলো নাপিতে, বলছো কি তুমি এ তা
নাপিত কহিলো না হলে কাঁধে চড়বে এ রোগ বেটা।
হাল ছাড়িয়া বসিয়া রইলো বাবুরাম সর্দার,
কাশিরাম কহে,
করলেতো ঢের কী-ই বা দোষ আছে তোমার।
বাবু কহিলো শহরে চলো আছে বড় ডাক্তার,
কাশি উঠে কহে বাদ দাও ওহে পারিবো না যে আর।
জোড়াজুড়ি করি লইয়া চলিলো কাশিরে শহরে,
পৌঁছালো তারা ডাক্তারখানায় কোন মতে প্রহরে।
ডাক্তার দেখে কাশিরামেরে কহে এতো নয় বড় জটিল
ঠান্ডা হাওয়ার শুষ্ক কাশি এতেই তোমরা ব্যাকুল।