ঢাকার রাস্তা-ফুটপাত ,
আবর্জনার বস্তা
দিয়াশালাই এর কাঠি
সিগারেটের উচ্ছিষ্ট ছাই আর বল্টু ।
খাদ্যের হাহাকার ,
শিশুরা হয়েছে টোকাই ;হাতে গাঞ্জা
ভিখারির আনাগোনা
হাহাকারে পড়ে থাকে পতিতার পতিত্ব ।
জীবন যুদ্ধ
ব্যস্ত রাজপথ
ব্যস্ত চায়ের দোকান
তবু কোথাও যেন কেউ নেই
কেউ কারো জন্যে নেই ;
রাস্তায় হাঁটি একসাথে
তবু চেনা হয় নি কাউকেই
সবাই বহুরূপী
নানান রুপ তবু যেন ধূসর সাদা ; কোথাও কিছু নেই ।
চারদিকে সবুজের হাহাকার
নদী হয়েছে কালো
ধুব সাদা হয়েছে রঙ্গিন দিনগুলি ।
আকাশে সব সময় শরতের হাওয়া
এই রোদ তো এই বৃষ্টি
যেন মানব মনে ও তার ছায়া পড়েছে;
এই ভালো তো এই খারাপ
যেন হাওয়া বদল করা শরতের খোলস ।
সবাই আপন আবার সবাই পর
কে কার ?
না আছি নিজের জন্য না আছি পরের জন্য
নিজেকে চিনি না ;তাই অন্য কাউকে ও চেনবার দুঃসাহস ও করি না
সবাই আছে পাশে তবু যেন কেউ নেই
কোথাও কেউ নেই ।
রাস্তায় হাঁটি
চারপাশে মানুষ
তবু কোন সাড়া শব্দ নেই
শুধু নিজের ক্ষয়িষ্ণু স্যান্ডেলের খসখসে শব্দ কানে বাজে
আর রিকশার টুং টাং শব্দ-বাস-ইঞ্জিনের বাজনা আর কলকারখানার ধোঁয়া ।
সবাই যান্ত্রিক
ভালোবাসা আজ লোক দেখানো
ভালোবাসা আজ বাদাম-চানাচুর-ফুচকা-ঝালমুড়ি আর খই
আর দু চার বার বলদা গার্ডেন কিংবা নির্জন জায়গায় নিগুঢ় নষ্টামি
আর ব্যর্থ প্রেমিকের হাহাকার ।
তারুণ্য আজ বৃষ্টির মতো ঝরে পড়ে
বাইক-টাকার হাওয়া-পেশি শক্তি আর উদ্যত আচরণ আজ তারুণ্যের নতুন সংজ্ঞা।
নেই ঐক্য ;আছে নোংরা রাজনীতি
ন্যায় বিচার আজ বড়লোকের টাকা কড়ি আর পুলিশের বুটের তলায়
নিঃস্বম্বলেরা আজ মানুষ না ;তারা নিচু শ্রেণী
রাষ্ট্র আজ তাদেরকে চিনে না ;
মানব হয়ে করি তার জাত পরিচয়
মানবের হৃদয় আজ মাটি থেকে ইট-কাঠ-সিমেন্ট আর শহুরে পিচ ঢালা রাস্তা ।
নবজাতক আজ পৃথিবীতে আসার আগে টাকা কড়ির হিসাব কষে ;
সামর্থ্য বুজে তাকে জন্মাতে হয়,
যাযাবরের কাছে নবজাতক নতুন বোঝা।
শিক্ষা আজ যেন অভদ্রদের ভদ্রের ছদ্মবেশ ধরার কারখানা
কাগুজে জ্ঞান আর সার্টিফিকেটে আজ জ্ঞানীরা বসত গড়ে ।
জীবনকে আজ শিখতে হয়
সবাই প্রতিপক্ষ ; সহযোদ্ধা বলতে কেউ নেই
সবাই আত্মকেন্দ্রিক ;
আমিও তো মনে হয় তেমনই,
তাই নিজেকে আয়নায় দেখতে ভয় পাই
যদি আঁতকে উঠি?
নিজেকে যদি ঘৃণা হয় ?
নিজেকে চিনি না ;তাই অন্য কাউকে ও চেনবার দুঃসাহস ও করি না
সবাই আছে পাশে তবু যেন কেউ নেই
কোথাও কেউ নেই ।।
কোথাও কিছু নেই ।।