স্বাধীন নাগরিক হয়েও আমরা স্বাধীন কেউ নই
অনাচারে, অবজ্ঞায় পিষ্ট হয়েও, চুপটি করে রই
বঞ্চিত অধিকারে যখন, বিষিয়ে ছিল জনতা
তারাই জানে কি যে যন্ত্রণা ছিল ঐ পরাধীনতা।
তাইতো একদিন তারাই ভেঙ্গেছিল ধৈর্য্যের যত বাঁধ
স্বাধীনচেতা জনতাই শুধু করেছিলো তীব্র প্রতিবাদ
শূণ্য হাতে গড়েছিল প্রতিরোধ স্বাধীন হওয়ার তরে
সচেতনার রং লেগেছিল তখন প্রত্যেক ঘরে ঘরে।
দিনে দিনে জনতার বুকে জমেছিল যত আগুন
মুক্তি পাবার হাহাকারে তা বেড়েছিলো শতগুণ
হাজারো তরুণের মুক্তির স্বাদ, দিয়েছিলো প্রেরণা
জীবন দিবে, তবুও হাত পেতে চাইবে না করুণা।
লাখো জনতার রক্তের স্বাধীনতা,এলো বীরের বেশে
পরাধীনতা গেলো, তবে দাসত্ব এলো পরিশেষে
নেতা-কর্মীদের হাতে শক্তি এলো, এলো যে কত সুখ
কত যুগ গেলো আজও কাটেনি দুখিনী মায়ের দুখ।
কেউ তো বলে তারাই নাকি এনেছিল স্বাধীনতা
তাদের জন্যই বাংলার বুকে আজ এতো সফলতা
নিজেদের গল্প কথা , কল্প কথা নিজেরাই শুধু কয়
অন্যদের সব বীরত্বের কথা অগচোরেই পড়ে রয় ।
যত জাতিই পেয়েছে পরিচিতি এই পৃথিবীতে
তাদেরই স্মৃতিগাথা আজও বেঁচে আছে নগরীতে
প্রতিটি দেশ টিকে থাকে আম-জনতার অবদানে
এই বাংলা’ই শুধু জীর্ণ হয় নেতাদের কল্যাণে !