‘বিংশ শতাব্দীর নারী’- কি তুমি ভাবছো
পরাধীনতার ক্ষোভে নাকি তুমি কাঁপছো ?
বিশ্বটা আজ বুঝি তোমার হাতের মুঠোয়
ভাবছো অসীম শক্তি রাখো ঐ হাত দুটোয় ।

ইচ্ছে মতই চলতে চাও, যখন মনে যা চায়
ধর্মীয় রীতি গুলোই শুধু অশান্ত করে তোমায়
শ্লোগানে শ্লোগানে মূখর করেছো রাজপথ -
নিয়েছো ‘পুরুষ তন্ত্র- ধর্ম তন্ত্র’ নিপাতের শপথ ।

পুরুষের মতই তোমরাও পারো সব সম ভাবে
তবে নারী কেনো পিছে রবে কিসের অভাবে
স্বাধীনভাবে তারাও চলবে সমাজে অবাধে
মাতৃত্বটাও বুঝি চাপিয়ে দিতে চাও পুরুষের কাঁধে ।

‘নারীও সব পারো’- তোমরা বাঁচে সেই বিশ্বাসে
তাই সব তন্ত্র-মন্ত্র ছুড়ে ফেলে দাও অনায়াসে
বিংশ সালের নারীর সাফল্য দেখছেও বিশ্ববাসী
আজ দেখি দিকে দিকে তাদের মুখে বীরোচিত হাসি।

তারাও কল্যাণ দিতে চায় পুরুষের পাশাপাশি
তাই তো তারা সম অধিকারে দৃঢ় বিশ্বাসী
নারীরাও যাচ্ছে চলে মর্ত্য ছেড়ে ঐ মহাকাশে
তবে কেনো নিরবে নিভৃতে থাকবে ঘরে বসে ।

আহা ! কি যে হয়ে গেলো এই বোনদের
কোন্ সে অত্যাচারী করেছে বন্দী তাদের
ইসলাম দিয়েছে নারীকে সর্বোচ্চ মর্যাদা
নারীর মেধা বিকাশে দেয় নাতে কোনো বাঁধা ।

কোন স্বাধীনতা অর্জনের লক্ষ্যে আজ তারা ব্যস্ত
সুদূর ভবিষ্যতের পরিনিতি যদি নারীরা জানতো
সব নারী নয়, সংখ্যা লঘুরাই দিচ্ছে এর নেতৃত্ব
দিন শেষে দেখবে ধর্মটাই দিয়েছে নারীত্বের শ্রষ্ঠত্ব ।

নর-নারী একে অপরের জন্য, নয় তো প্রতিদ্বন্দ্বী
নারী ছাড়া নর বাঁচেনি বেশিদিন আজ অবধি
কে বলেছে তুমি পরাধীন, ধর্ম তন্ত্রের কাছে বন্দি
সরল পথ হতে বিপথে নেয়াই শয়তানের যত ফন্দি।