হে সুধীজন , হে গুণীজন !
তোমার শোকে দেশবাসীর ভিজেছে দু’নয়ন
তোমার তিরোধানে, লক্ষ ভক্তকূল মুহ্যমান
বিষাদময় স্থান হতে,এ যে সুখময় প্রস্হান ।
জুলুমের আঁচড়ে অন্যায়ের ভারে ওষ্ঠাগত প্রাণ
নিঃসঙ্গ নীরবে তোমার ক্রন্দনে ভেঙ্গেছে আসমান
এই তিরোধানেই তোমার মুক্তির গাইছি জয়গান
দূষিত নগরীর বাতাসেও আজ পাই সুখ টান।
হয়তো তোমার দোয়া’ই হয়েছে কবুল ঐ দরবারে
নিষ্পাপ হয়ে ফিরে যেতে চেয়েছিলে পরপারে
আক্রোশের বসে বারোটি বছর ছিলে কারাগারে
এতেই অজানা সব পাপ হয়তো গিয়েছে ঝরে।
তোমরা করো শোক, আমি করি উল্লাস এই ক্ষণে
আজ মুক্তি মিলেছে তার, পরম শান্তির আহবানে
অপবাদে শির হয়নি মলিন, মহিমান্বিত নিজ গুণে
শুধু হিসাবের দিনে, জুলুমের হিসাব নিও গুনে গুনে ।
তোমার মতন গুণীজন বহু যুগ পরে ধরণীতে আসে
তোমার সেই দরাজ কন্ঠ আর ভাসবে না চারিপাশে
তোমার হুঙ্কার ধ্বনিত হবে না আর আকাশে বাতাসে
জালিমের বুক কাঁপবে না আর ঐ বজ্রকন্ঠের ত্রাসে।
দোয়া রইল, তোমার উত্তম প্রতিদান যেনো মিলে
সকলেই জানে, জনতাকে কতটুকু মমতা দিয়েছিলে
জালিমের অন্তর কাঁপছে জেনো চোঁখের আড়ালে
জয় পরাজয় এই ধরণীতে নয়, সব হবে পরকালে।