এই মনে এক পশলা বৃষ্টির আর্দ্রতার প্রয়োজন ছিলো
মৃদুমন্থর বাতাসের স্নিগ্ধতার আকূলতা ছিলো
অন্ধকার দিকটায় একচিলতে আলোকচ্ছটার হাহাকার ছিলো।
তাই বলে তুমি বৈশাখী ঝড় হয়ে আসবে ?
আর বজ্রপাতের আলোর ঝলকানি দিয়ে
ঝলসে দিতে ?

আমি বুঝিনি, বুঝিনি মেঘ ভাবতেই অত বড়
একটা সমুদ্রটা নেমে আসবে
ভেবেছিলাম, খরা ভূমিতে বৃষ্টির ছোঁয়া পেলে
মনটা উর্বর হয়ে উঠবে, আবার সবুজ হবে
এতটুকু আলোয় নতুন করে রাঙিয়ে উঠবে ।
 
অথচ, তুমি এসেছিলে বৈশাখী ঝড়ের মতন অপ্ররতিরোদ্ধ হয়ে
প্রচন্ড শক্তিতে দুর্বার গতিতে , সব বাঁধা গুঁড়িয়ে দিতে
তোমার শক্তিতে, কুলিয়ে উঠতে পারিনি কোনো মতে
দমিয়েও রাখতে পারিনি নিজেকে, তাই বিলীন হয়েছি।
 
ভিজেছি, মিশেছি তোমার প্রলয়ের সাথে
স্বপ্ন দেখেছি ধ্বংসের মাঝে, ভেঙেছি সব শৃঙ্খল
ছুটেছি দিক বিদিক অজানা অমানিশার আঁধারে
অশান্ত ঢেউয়ের ভিড়ে তারকার মতন প্রজ্জ্বল ।
 
তোমার বলয়ের তীব্রতায় কেবলি মিলেছে আকর্ষণ
যে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গেছে মোরে আরো গভীরে
জাদুময়ী এক ঝড়ো বাতাসে দুলিয়েছিলো সর্বাঙ্গ
আঘাতে আঘাতে নতুন মাত্রা দিয়েছিলো তোমার সঙ্গ।
 
ঝড় থেমেছে, সহসাই ফিরে গেছো অজানা গন্তব্যে
রেখে গেছো ধ্বংসাবশেষ, গভীর ক্ষত আর চিহ্ন
সময় গড়িয়েছে, নতুন কোলাহলে শহর মেতেছে
শুধু রয়ে গেছে আগেরই মতো খরা ভূমির সেই আর্তনাদ ।