যার সনে জোড় বেঁধে এসেছি বিশ্ব নিখিল সংসারে,
তারে খোঁজে মরি বিকেলের নরম রোদে, ভোরের শিশিরে,
হেঁটে গেছি বাংলার সরিষা ক্ষেতের কাছে আলপথ ধরে,
দেখেছিলাম রমণী এক-পাখির মতো উড়ে গেছে গ্রামের ভিতরে।

হাজার দৃষ্টির ভিড়ে খুঁজেছি সেই কামুক জোড়া চোখ,
চেয়েছিলাম এই পৌষের শীতে তার সনে দেখা হোক।
মাঘের শরীরে খেজুর রসের মতো ঝড়ে প্রেমসুধা,
কোন সে রমণী, করবে আমায় ঋণী মেটাবে প্রেমক্ষুধা।

নিগূঢ় নিঃসঙ্গতা ঘিরে রেখেছে আমাকে;বেলা বয়ে যায়
শত দুর্গম পথ দিয়েছি পাড়ি, পথের পথিক পথে হারায়,
সারা বিকেল একা ঘুরে ঘুরে,পথে ঘুরে ঘুরে; আমি
খুঁজে ফিরেছি একজোড়া সবুজ চোখ। চেয়েছিলাম
কোনো এক তীব্র শীতের রাতে তোমার সাথে দেখা হোক।

রমণী আর সহে না দেরি পশ্চিমে ডুবে এলো সন্ধ্যা তারা,
বাড়িয়ে দিয়েছি হাত মেলে ধরেছি বুক দাও তো এবার সাড়া।
ফুরিয়ে যাচ্ছে সাঁঝের বাতি চলো হেঁটে যাই পথের সাথে,
একবার যদি পাই দেখা-ছাড়বো না আর কোনো অজুহাতে।


তারিখঃ ০৬/০৮/২০১৭ ইং