গৌধূলী লগনে সুনীল গগনে বসে মেঘনার তীরে,
অদূরে জলধারা প্রণয় নাড়ে কড়া মন মন্দিরে।
অপেক্ষার নদী বহে নিরবধি তোমারি পথ চাইয়া,
ক্ষণকাল পরে বসিলে গা ঘেঁষে সবুজ মাঠ বাইয়া।
ডাগর জোড়া চোখ থরথর ঠোঁট দেখিয়া ব্যাকুল প্রাণ,
আজি প্রেমমালা পড়িব গলে গাহিব বসন্তের গান।
এত সুখধারা মন পাগলপারা, সহিবে কি খাটো কপালে?
যদি আসে ঝড় করো আমায় পর, ডুবিয়া মরিবো জলে।
সহসা সলিল ফুলিয়া উঠিল, মেঘে মেঘে আকাশ ভারী,
বুকের পাঁজরে লুকাইয়া তারে তুফান দিলাম পাড়ি।
কাহার বুকে মাথা রাখিয়া আজি কাহার করিছো ঘর,
কাহারে তুমি মন দিয়াছো? কাহারে ভাবিছো পর।
কোমল হৃদয় কেমনে পাষাণ হয় জানিবার বড় সাধ,
দীল আজি ক্ষত-বিক্ষত, বিষাদময় দিন-রাত।
যাযাবর বেশে ঘুরি দেশ-দেশে খুঁজি তোমারি মুখ,
পাহাড়-পর্বত,বন-বাদাড় বিচরণে মুছে যদি দুখ।
বনের পাখি ফিরে যাও নীড়ে কবিও ফিরিবে ঘরে,
নব প্রণয়ে জাগিয়া উঠিবে, বাঁচিবে সত্যের তরে।
নারীর মন বোঝার সাধ্য কাহার, বুঝে না মজনু মন,
তোমারি সুখে সুখী হইয়া তোমারে দিলাম বিসর্জন।