পৌষের শিশির ভেজা স্নিগ্ধ ভোরে হেটে চলেছি অজানা গন্তব্যে,
পাহাড়ের বুকের উপর বয়ে চলা আঁকাবাঁকা রাস্তায় আমি ছুটে চলেছি
নিরন্তর; সবুজ চা বাগানের শ্যামল পথে হঠাৎ থামি এক বালিকার কণ্ঠ শুনে-
শুকনো পাতার মরমর শব্দ আর খালি গলার মধুর সুর ভেসে এলো কানে।
ব্যাকুল মনে রহস্য নয়নে খুঁজে ফিরি সেই কোকিলকণ্ঠী গলার স্বর,
কে তুমি সুন্দরী? ভয়ার্ত চোখে কম্পিত ঠোঁটে বলেছিল সে-প্রিয়াশা নির্ঝর।
মেঘ কালো খোলা চুল, আকাশের নীলের মতো শাড়ি, জোড়া হাতে চুড়ি
আর কপালে টিপ দেখে যাদু লাগলো চোখে!
অতঃপর পাখির মত উড়ে গেল সে পালকের চিহ্ন রেখে।
দুর্গম পাহাড়ে শহরের অলিতে গলিতে খুঁজেছি যারে সহস্র বছর ধরে,
আহা! এতোদিনে পেলাম তারে, বিধি এ কোন পুর্ণের প্রতিদান দিলে?
আমি মাতাল হবো, বনবাসে যাবো, নদীতে ঝাঁপ দেবো না পেলে তারে।
এসো প্রিয়াশা-হে নির্ঝরিণী, এসো আমার প্রেমের গালিচায়,
এসো ঢেউয়ের তালে তালে ভেসে বেড়ায় সুখের ছোট্ট ভেলায়।
এসো কবিতার ছন্দে মনের আনন্দে গেয়ে বেড়ায় জীবনের গান,
এসো শীতের সকালে আগুনের পরশ নিয়ে শুনি পাখির কলতান।
আজি এক লক্ষ একটি গোলাপ আর অজস্র ফুলরাজি দিয়ে সাজাবো বিছানা,
খোঁপায় জড়াও বেলী ফুলের মালা চুপিচুপি বলি শোনো-আজ ভরা পূর্ণিমা।
আমি তোমারি আঁখিতে জোছনা দেখবো, গোলাপের পাপড়ি খুলে নেবো,
ছুঁয়ে দেব পদ্মফুল,আমি গুপ্ত সংবাদের খোঁজে ব্যস্ত হবো,
চুলের গন্ধে মাতাল হবো খুলে দাও চুলের বাঁধন,
আমি তোমারি নামে একটি তারার নাম দেবো করে নাও আরও আপন।
বালিকা কেন এত সংকোচ ভুলে যাও মিথ্যে ভয়,
এসো প্রিয়াশা ভালোবাসা দিয়ে ভালোবাসা করি জয়।