কর্মব্যস্ত দিবসের শেষে যখন পশ্চিমের সুর্য সমুদ্রে দেয় ডুব
ক্লান্ত পাখিদের পালকে চড়ে নেমে আসে অন্ধকার,
সন্ধ্যার প্রদীপ জ্বলে উঠে গ্রাম বাংলার ঘরে ঘরে,
তখন সুন্দরী গৃহবধুটি সাঝঘরে মুখ দেখে আয়নায়।
মনের গহীনে দোলা দেয় গোপন প্রেম,
চোখ বন্ধ করলেই ভেসে উঠে প্রিয় মানুষটার মুখ,
আবার সাজে ব্যস্ত হয় মেয়েটি।
লাল টকটকে শাড়ি,কপালে ছোট টিপ,
মুখের লাজুক হাসি আর হাতে একখানা চিরকুট নিয়ে
নুপুর পায়ে হেটে যায় শোবার ঘরে।
কাঙ্খিত পুরুষটাকে আপন করে নেওয়ার আকুলতায়
নিজের ঠোঁট কামড়ে ধরে বারবার।
দরজার ওপাশে এই বুঝি মানুষটা এসে দাড়াল!
দরজায় দেবে টোকা,প্রিয় নামটি ধরে দেবে ডাক,
শাড়ীর আঁচল ধরে টেনে নেবে বুকে। কপালে আঁকবে শিহরিত চুম্বন।
অপেক্ষার প্রহর শেষে পুরুষটি দাড়াল এসে দরজার সামনে,
মেয়েটির দিকে তাকাল ঝাপসা চোখে,
লাল রংয়ের শাড়ি, ছোট টিপ কপালে,
মুখের লাজুক হাসি আর হাতে এখনও আছে সেই চিরকুট।
মায়া লাগছে বেশ ।
নুপুরের ছন্দে মেয়েটি এগিয়ে এলে-
হায় একি! মুখে তার মদের বিশ্রি গন্ধ!
শার্টের কয়েকটি বোতাম ছেড়া,
গলার নিচে ধারালো নখের আচড়,
যেন যুদ্ধাহত কোন পরাজিত সৈনিক!
এলোমালো পায়ে ধরাধরি করে শুয়ে দেয় খাটে,
মুহুত্বেই ডুবে যায় গভীর নিদ্রায়।
না-এই ঘরে আজ কোন পুরুষ আসেনি।
মেয়েটির চোখে শুধুই শুন্যতা!
এক ফোটা শিশিরের বিনিদ্র হাহাকার।
কানে ভেসে আসে অসহ্য সাইরেনের শব্দ।
চিরকুট খানা ছুড়ে ফেলে মেজেতে আর
তাতে লেখা-"হ্যাপি ম্যারেজ ডে"।