এখন দ্বিপ্রহর। গোমটমাখা শহর।
পয়সার অভাবে এই ভাঙ্গা বাড়িটা আলোহীন অনেকবছর ধরে।
অন্ধকারে এখন সবকিছু স্বচ্ছ দেখতে পাই।
এই শহরে পাপাচার শুরু হলে ঘুম ভেঙ্গে যায় আমার ।
চোখজোড়া হয় রক্তবেগুনী।কালের সাক্ষী হয়ে
লিখতে থাকি অপকর্মের দলিল।
এই দ্যাখো,পার্টি শেষে রাতের সুখ কিনতে ব্যস্ত শকুনেরা!
দামী গাড়িগুলো যাত্রা করেছে নরকের উদ্দেশ্যে।
খানকি পাড়ায় চলছে উদাম নৃত্য। চাকুর আচড়ে-
ঢাকা মেডিকেলের মর্গে ধর্ষিত নারীর লাশের চলছে পুনঃধর্ষন ।
মসজিদ-মন্দিরে প্রার্থনা হয় বলে হয়ত বিধাতার করুনায়
আজও বেঁচে আছে শহরটা।
হঠ্যাৎ গূলশানের ওইদিক থেকে গূলির শব্দ!
ওরা ছেলে-মেয়েগুলোকে সারিবদ্ধভাবে শুয়ে দিল মেজেতে।
পশুরমত জবাই করলো এই শহরের স্বপ্নগুলোকে।
কালসকালে পত্রিকার হেডলাইন হবে লাশগুলো।
শুনলাম-ঘাতকেরা লাশের বদলে স্বর্গ পেতে চায়!!
কি নিষ্টুর ওরা। কতটা ভয়ংকর ওদের চাওয়া!
আজিমপুর গোরস্থানে এইমাত্র কবর দেয়া লাশটি উঠে হাটতে শুরু করেছে।
তার গলা কাটা। রক্ত দিয়ে ভেসে যাচ্ছে সাদা কাঁপন।
লাশটি প্রবেশ করলো সুপ্রীম কোর্টের ভিতরে!
লাশটা বিচার চাইতে এসেছে।
কার কাছে বিচার চাইবে সে?
অথচ এই শহরের বিবেকগুলো এখনও ঘুমিয়ে!
কাল সকালে হয়ত বউর কপালে চুমু এঁকে চলে যাবে অফিসে।
ছোট্ট খোকাকে পাঠিয়ে দিবে স্কুলে।
যেন তেমন কিছুই ঘটেনি এই রাতে!
পুরো শহর যেখানে গভীর নিদ্রায় সেখানে আমারও তো ঘুমাতে ইচ্ছে করে।
কিন্তু আমার ঘুম আসেনা কেন?