নির্বোধ পুরুষের অভিমুখে সখীরা যখন তোমায় সাঁজাতে ব্যস্ত হলো,
মনে হচ্ছিল কোন হিংস্র বাঘের খাঁচায় এক টুকুরো মাংসপিন্ড
ছুড়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা,
অবাধ্য রক্তে রঞ্জিত হচ্ছিল যখন পৃথিবীর জমিন তখন
ইচ্ছে করছিল পাঁচতলা বিল্ডিং থেকে এক লাফে চলে যাই স্বর্গে,
আমার ব্যর্থ চেষ্টা দেখে রাতের প্যাঁচাগুলো বিশ্রিভাবে হাসছিল,
এই পৃথিবীর নিষ্ঠুরতায় আমার দম বন্ধ হয়ে আসছিল সেদিন।
কতবার আমি আত্বহনন করেছি,
কতরাত আমি পৃথিবীতে বৃষ্টিপাত হয়ে ঝড়েছি,
কতবার যে মহাশুন্যে আত্বাকে ভাসিয়ে দিয়েছি,
পৃথিবীর কোন গনিতবিদ তার হিসাব রাখেনি।
কিন্তু দেখো আমি আজও মরিনি।
আমি এবং আমার মত প্রেমিকের মৃত্যু নেই।
তোমাকে ছাড়া স্বার্গে একা কি করে থাকবো বলো?
মেঘ বালিকা,তুমিহীন আমি স্বর্গে যেতেও রাজি নই।
এসো মৃত্যুকে আলিঙ্গন করি,
এসো একসাথে স্বর্গে যাই,
এই পৃথিবীর ইতিহাসে মোদের প্রেম কাহিনী
লিখা থাকুক স্বর্ণাক্ষরে,অনাগত প্রেমিক-প্রেমিকার দল
আমাদের জন্য পালন করুক এক মিনিটি নিরাবতা ।
রজনীগন্ধা আর গোলাপ দিয়ে সুসজ্জিত হোক মোদের কারবালা।
আমি বিধাতাকে বলেছি, স্বার্গে আমার হুর লাগবে না।
আমার মেঘবালিকাকে বরণ করার ব্যবস্থা করুন।
তার গলার শোভা পাক স্বর্ণখচিত মালা,
স্বার্গের বুকে রচিত হোক মিলনকাব্য,
অমর প্রেমের হোক জয়।