প্রিয়ে ,
          আজি শরতের  হাওয়ায়  যেন বিরহের বাঁশীর বিষাক্ত  সুর ভেসে আসছে আমার কানে ।
         আমার রক্তিম চোখ গুলোর দিকে ভালো করে চেয়ে দেখো
        কত সুখ দুঃখের ছবি চলচিত্রের  মতো  প্রস্ফুটিত হচ্ছে ।
  না বলা কথা গুলো আজ কেন  আমার ওষ্ঠদ্বয় দিয়ে আটকাতে  পারছিনা !  
" যাত্রা টা খুব অল্প সময়ের "
        - ক্ষণিকের মধ্যে যেন  জীবনের হাসি ,কান্না  গুলো
             পুঞ্জীভূত  ধোয়ার  আকারে পেরিয়ে  যাবে  ।
তীরে এসে ঠেকবে   নাও ,
মাঝি  ফিরে  রইবে  পারে ওপারে ।
নৌকা থেকে নেবে   পথিক  বলবে , " আসি তবে "
          মাঝি ফিরেও তাকাবে না ,
তার চোখ শুধু  হেঁটে আসা পথের দিকে তাকিয়ে ,
হয়তো বা  কেটে যাওয়া মুহূর্ত গুলো আবার ফিরে  পাবার   আশায় ,
  শুধু  তার  কম্পমান কণ্ঠ থেকে -"ভালো  থেকো" এই বিদায় বাণী বেরিয়ে আসবে ।।



প্রিয়ে ,
            বলো সূর্যের কিরণে এই সকালে কুঁড়ি গুলো ফুল হলো ,
             দেখো গোধূলি আসতেই পাপড়ি গুলো কেমন মুহ্যমান হয়ে গেলো ,
হয়তো বা নৈবেদ্য ডালিতেও ঠাঁই পাবে না ,
আর তার  ঠাকুরের চরণ স্পর্শ করা হলো না ,
হলোনা নিজের সুবাস দিয়ে ভ্রমরী দের আকর্ষণ করা ।
এই বিষ মেশানো বাতাসে
আমার পাপড়ির শুভ্রতা ম্লান  হয়ে গেলো ।
      
প্রিয়ে ,
           আবার মিলিত হয় কোনো এক নদীর পাড়ে ,
             যেখানে নীরবতা আর  নদীর কলকল শব্দ মিশে একাকার হয়ে গেছে ,
                 কোমল বাতাস যেন কোনো এক গ্রাম্য রমণীর  স্নিগ্ধ  আঁচলের মতো বুলিয়ে দিচ্ছে ,
              চলো,
                      সেই মনমোহিনী  ধুম্র আকর্ষণে
                      নেশাতুর হয়ে পড়ি ।।
              চলো,
              আমার নতুন কোনো দিগন্তের  দিকে হাঁটবো ,
                   পথহারা হলে পথ বানিয়ে নেবো  ,
            চলো,
                    ঠোঁটের কোনায় একটু মিষ্টি হাসি দিয়ে
                        বিরহ কে মেনে নিই ।।
                      
                  
                    
                    বিঃ দ্রঃ  :- কোনো ''নারী''কে উত্সর্গীকৃত নয়