আগর ছায়ায় মামলাটি মিশে যায় মানুষের মিছিলে
সঙ্গী হয় দোয়েলের দোলা
ধীরে ধীরে জান্তা-গলা তলায় পিণ্ডিতে,
মামলার মুখ্যমানু ভাইরাল হয় চার দিক অনেকটা চে’র চেনা দ্রোহী সুরে
বাঙ্গালি জিতে নিজ রায়ে যেন সৃজক ভিড়েছে তাতেই , উর্দি পরা বাদী গদি ছাড়ে ।
পল্টনে হাক দেয় মধুমতি থেকে এক বিরাট মানব ,
নেচে উঠে গোমতী গঙ্গার জল জীব তিতুমির ক্ষুদিরাম সাজে ;
আগরের ছাল ছিরে বের হয় বঙ্গ-বুলেট , শুভ্র ফুলে যেন বসে লোহ ছাপ
অজুত মানুষ মেহেরপুর আগরতলা বাঘমারায় বাঘের স্বরে কোরাস গায়
গালিবের গজল ভিন লয়ে মিলে নিরম্লেন্দু’র হুলিয়ায়, কোন কোন রাজপথু কবি
হয়ে যায় ডরহীন ধ্রুপদী বাজনে ।
আগরের শিরা বেয়ে শীর্ষে উঠে উনসত্তর, পরেই গুলির অপূর্ব গুনগুনানি মহান একাত্তর ।
অবশেষে লাল-সবুজ হৃদে ছাপ্পান্ন হাজার বর্গমাইল হাসে,
হৃদ-টিপে আছে লেগে আগর-আতর যেন এক সুলতানি অঙ্কন ;
টিপে দেয় কালি ছিটা কিছু নব্য অসুর
দীর্ঘশ্বাসে গোমতীর গাংচিল বলে, টিপে যদি বইত সুভাষ-মুজিব মলয় ।
(বাংলা কবিতা স্মারক)
ঢাকা, ০২.০৬.২০২৩