বিমল বিকেল
কৃষ্ণচূড়ার ছায়ায় মেট্রোর মাদলে গুনছিল প্রহর পুরনো বন্ধু, মনে হল মেঘ দমে গেল তখন -বৃষ্টি হয়ে নামেনি আধেক শুভ্র কৌণিক বিকেলে- যেন এক জেনেভীয় দৃশ্য । অনেকটা হিব্রু বেঞ্জিরিয় বেঞ্জনে গুম হতে হলো প্রায় ফাঁকা পথে , তবে পীচ পাতা দেখে দেখে উচ্ছলিত কথনের একক সারেঙ্গী শোনে শোনে পিজা হাটে নিটোল নোঙ্গর , শুরু হয় দ্বিমুখী কথন লাইভ করে কোন সুইস চ্যানেল বিমূর্ত বিহ্বলতায় ।
নানান পালিশে নানা জন কেহ স্লীম কেহ মেদ-ক্লান্ত আসে যায়, কালো ধুয়া মাড়িয়ে কার্নিশের শালিকেরা আবাহনী মাঠের ঘাসের টানে ছুটছে- বুঝেছে শ্যামের আকাল নায়ক-সাংসদের তটে; অবিরাম বচনে পশ্চিমের হাওয়া ভালই লেগেছে সখার হাল্ককা প্রাচীন-মনে, মাঝে মাঝে উঠে আসে বিগতাদের উষ্ণ হাওয়া কেহ মস্কো হয়ে বার্লিন কেহ বাফেলোতে কেহ গুলশানে- হয়ত কেহই মাখে না পদ্য-বায়।
বেড়ে যায় ভিড় হাটে ক্রমশ আয়ুর্বেদ অদুরে কাঁদে, আসর পেড়িয়ে মাগ্রিবে মোড় নেয় আষাঢ়ীক দিবা ; যান্ত্রিক করী কারুর ইশারায় চলে উত্তর উদ্যানের পানে , কালো ইটের দাপটে যেথায় নাভিশ্বাস কদম কুঞ্জে , চারপাশে সব বায়ু জল কেদারা নিয়েছে করেতে হুমায়ুনের নষ্টরা। তার মাঝেই প্রানিরা প্রাণ পেতে চায় প্রাণের পুরেই যদি সাথে মিলে সবুজ নিলয় ।
ঢাকা। ২০।০৬।২৪