ভাংচুর একটা দরকার।
হৃদয়টাকে পাঠিয়েছিলাম
ধোলাই খালে, অনেক দিন আগে,
বেটা ফিরে এলো হাসতে হাসতে।
শুনলাম, কবিতা শুনিয়ে
মাত করেছে সবাইকে।
কবিতার মোহে
শ্রমিকরা নাকি ভুলে গেছে
মেসিন চালাতে।
বেটা সেই ফাঁকে
বেরিয়ে এসেছে
বহাল তবিয়তে।
কষ্টিপাথর একটা দরকার।
ঘষে দেখতাম,
এখনও কতোটা বাকী
ওর সুন্দর অনুভুতি?
যদি তাও না হয়,
হরতাল একটা দরকার।
গুড়িয়ে দিতে ওর
সৌন্দর্যের অহংকার।
হরতাল ডেকে
অন্ধকারে বন্ধ রেখে
শাস্তি দিতে চাইলাম,
নাহ, পারলামনা
বেটা বড় নচ্ছার।
অন্ধকারে শরীরবিহীন
অনুভবকে,
আরও করেছে উপভোগ।
ভাবছি, এবার পাঠাবো এফ সি পি এস করতে
কিন্তু....সেখানেও তো শুনলাম
অনেক বছর লাগবে,
মানব অস্তিত্তের সাথে
নিজেকে জরায়ে,
আরও হয়ে উঠবে মানবিক।
আবেগ অনুভুতির চাকা, ঘুরবে রথে
হৃদয়কে জয় করে,
দাঁড়াবে দু:খী মানুসের পাশে।
নাহ! তার চেয়ে বরং পাঠিয়ে দেই
সাংবাদিক হতে,
সত্যকে মিথ্যা, আর মিথ্যাকে সত্য বানানোর
মহৎ কাজে।
প্রসব করবে বিকৃত ইতিহাস
নুতন করে জন্ম হবে
স্বাধীনতার আদি নিবাস।
পুর্ন হবে ওর ষোল কলা,
বন্ধ হবে দখিনা দুয়ারের কপাট।
উত্তরমুখী ঝড়ো হাওয়ায়,
বন্ধ হবে ওর আবেগ-অনুভুতির চাকা
আসবে অঢেল টাকা,
ছরিয়ে পরবে নাম
মুখে গাইবে সাম্যের গান।
(বি দ্র : সাংবাদিকতা পেশার উপর শ্রদ্ধা রেখে, শুধুমাত্র হলুদ সাংবাদিকতা এবং কিছু জ্ঞান পাপীকে উল্লেখ করা হয়েছে)