ভালো যে বাসি আমি কবিতা লিখিতে,
তাই চেষ্টা করি ছন্দ মিলাতে।
কবিতার ভাষায় চাই যে মনের কথা গুলো বলিতে,
যদিও জানি, কেহই চায়না আমার এই লিখা পড়িতে।
হয়ত আমার লিখাগুলো পায়না কেহই দেখিতে,
তবুও লিখে যাই এই পাতাতে, চাই যে নিজেরই মন ভরাতে।
জানি, কিছু কবিতা লিখিতে হয় সংক্ষিপ্ত করে,
আবার কিছু কবিতা লিখিতে হয় দীর্ঘক্ষণ ধরে।
আবৃত্বি করিতে হয় গুরু-গম্ভীর স্বরে,
আর প্রানবন্ত হয় তখনই কবিতা পড়ে।
হয়ত কেহ কেহ আমার এ লিখা বুঝিতে পারে,
আবার কারোর চোখে হয়তো অনেক ভুল ধরা পরে।
এও জানি, একটি কবিতা লিখিতে হলে,
চলে যেতে হয় মনের গহীন তলে।
নিজেরই মনের ভিতরে অনুসন্ধান নিলে,
তখন আপনাতেই যেন কলম চলে।
মনের কথাগুলো প্রতিটা চয়নে বলে,
কথার মালা গেথে, পড়িয়ে দিতে হয় কবিতার গলে।
কবিতা লিখিতে হয় পরম ভালবাসা দিয়ে,
নিজস্ব চিন্তা আর সমস্ত ভাবনা দিতে হয় ভরিয়ে।
মনের গভীরের শব্দগুলোও যেন থাকে সব ছড়িয়ে-ছিটিয়ে,
সুখ-দুঃখগুলোও যেন কবিতার মাঝে থাকে লুকিয়ে।
এঁকে দিতে হয় কবিতার মাঝে, মনের রং তুলি দিয়ে আঁকিয়ে,
স্নীগ্ধ আলপনে ভরে যায় পাতা, শেষে মনটা দেয় ছুঁয়ে।