ভেবেছিলাম এ নিয়ে কিছুই লিখব না।
ভেবেছিলাম আমিও মেনে নেব সব যেমনিভাবে সকলে মেনে নেয়।
ভেবেছিলাম সব শান্ত হবে, শান্তি ফিরবে প্রাণে।
এই ভাবনা আর কতকাল?

বিগত একটি বছর আমি ঘুমুতে পারিনি,
আমার এই জমে থাকা ঘুম চোখের একাউন্টে কে ফিরিয়ে দিবে?

আজো চোখ বুজলেই শোনতে চাই
পাঁজর ভাঙ্গার শব্দ। আমার কানের দিকে ছুটে আসে
"বাচাও বাচাও" শব্দের হাজারো চিৎকার।
আমার সমস্ত শরীর ভেসে যায় রক্তের স্রোতে।
আমাকে আঁকড়ে ধরতে চায় ক্ষত-বিক্ষত হাত পা নিয়ে
এগিয়ে চলা হাজারো মৌমাছি।
আমার চতুর্পাশে কেবলই শোনতে পাই
মৌমাছিগুলোর স্বজনদের আহাজারি
"হে আল্লাহ, আমার সন্তানকে রক্ষা করো।
হে আল্লাহ, আমার মানিককে তুমি বাচাও"।

আমি তখন চোখ খুলে তাকাই।
উন্মুক্ত চোখে তাকিয়ে দেখতে পাই
দেশের রাষ্ট্রপতি তখন উৎসবে মত্ত।
দেশের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী সেজেছেন সংসদের ভাড়।
দেশের প্রধানমন্ত্রীও দেন উদ্ভট তথ্য।

এদিকে, মৌমাছিদের উপার্জিত মধু পানে তৃপ্ত ব্যক্তিগণ
ব্যস্ত তখন এক মৌয়ালকে বাঁচাতে।
এক হাজার একশত পয়ত্রিশটি প্রাণের খুনীও
প্রাণ নিয়ে বেঁচে যায় এই ধরায়,
হাজারো পরিবারকে অসহায় করলেও
তার থাকে সহায়।

আর মৌমাছি!
মৌমাছিগুলো কভু পায়না মধুর স্বাদ,
এরাতো মানুষ নয়! মধু'র যোগান দিতে এসে
প্রাণ দেওয়াই যেন এদের কাজ।