-কি দেখছো এমন করে?
-দেখছি না খুঁজছি।
-কি খুঁজছো?
-তোমার দু চোখের আড়ালে লুকিয়ে থাকা নদীটিকে,
যার উত্তাল স্রোতের প্রবাহে আমি প্রতিনিয়ত ভেসে আসি তোমার দিকে।
-কি বাজে বকছ! আমার চোখে নদী আসবে কোথা থেকে?
-চুপ চুপ কোন কথা নয়, ঐ শোন তোমার কণ্ঠ যন্ত্র থেকে ভেসে আসছে সেতারের সুর।
-আরে ধুর, কি বলছ এসব পাগলের প্রলাপ!
-সত্যি করে বলতো কি দেখছ এমন করে?
-দেখছি নয় খুঁজছি।
-কি খুঁজছো তাই তো জানতে চাচ্ছি?
-রহস্যের সমাধান।
-কি রহস্য, আমার ভেতর এমন কি রহস্য আছে যে তোমার সমাধান করতে হবে?
-যে ঘরে আপন মনে রহস্য বসত করে সে কি করে পাবে রহস্যের ঘ্রাণ?
তোমার প্রতিটি নিশ্বাস, ঐ ভ্রুর নাচন, পাপড়ির ছন্দ এসবইতো রহস্যের আধার। এ রহস্যের সমাধান করতে এসে র্শালক হোমস পর্যন্ত হাড়ে পানি পাবেনা। তোমার দৃষ্টি কেন তীর হয়ে এ হৃদয়ে বিঁধে সে রহস্যের সমাধান জানা আছে তোমার?
-সবই তোমার মনের ভুল, আমি কখনোই এমন নই।
-তুমি কেবলই প্রশ্ন এড়িয়ে যাচ্ছ, কি দেখছিলে এমন করে তা বলো।
-একটি পৃথিবী দেখছিলাম, মায়াময় একটি পৃথিবী,
যে পৃথিবীকে সহজেই একটি শান্তির নীড় বানানো যায়
অথবা চাইলেই তাকে ধ্বংস করে দেওয়া যায়।
-আসল কথা বলো, আমার দিকে এমন তৃষ্ণার্ত কাকের মতো তাকিয়ে থেকে কিসের পিপাসা মেটাচ্ছিলে?
-পিপাসা!! এই পিপাসাকি কখনো মেটানো যায়?
বিশ্বের সমস্ত পানি পান করলেও ভূগর্ভের পানিতে টান পরলেও
এই চোখের পিপাসা, মনের পিপাসা মিটবে না।
-তাহলে কি দেখছিলে?
-আমি দেখছিলাম একটি স্বপ্নের আবাস্থল, যে স্বপ্নটি পৃথিবী থেকেও বড়
তা কেমন করে ঠাঁই করে নিল তোমার ঐ ছোট্ট বুকের ভেতর,
কেমন করে সে ধীরে ধীরে মায়ার মালা পড়াচ্ছে তোমাতে আর আমাতে।
-আচ্ছা বলতো বিশ্বে আশ্চর্য জনক জিনিস কয়টা?
-৭টা, এটাতো সবাই জানে
-ভুল, হবে ৮টা।
-৮টা কিভাবে?
-হুম ৮টা, আর ৮নম্বরটা হলে তুমি।
-আমি!! আবার শুরু করেছ পাগলামি!
-আসলে সত্যিকার অর্থে শুধু তুমি নও, তোমরা সবাই মানে নারী জাতি।
-কি করেছে নারী জাতি?
-কি করেনি বলো, এই আমি বসে আছি তোমার পাশে।
হাতে হাত, চোখে চোখ, কণ্ঠের সাথে কণ্ঠের ধ্বনি এক হয়ে
মিশে যাচ্ছে বাতাসে কিন্তু তোমার কতটুকু আমি চিনতে পেরেছি?
আমার হাতের ছাপে তোমার হাতের ছাপ কতটুকু রাখছে প্রভাব,
তা জানো না তুমি না জানি আমি, শুধু জানি তুমি চাইলে
১টি পৃথিবী ভাগ যেতে পারে ৯টি ভিন্ন গ্রহে,
আবার ৯টি গ্রহ এক হয়ে সৃষ্টি করতে পারে ১টি পৃথিবীতে।
এর বাহিরে পথচলায়
কেবলই শুধু কয়টা আশ্চর্যবোধক চিন্হ দিয়ে শেষ করতে হয় এর বাকি অধ্যায়।