এই মাত্র ভোর হলো
আঁধার ;
কুয়াসা কাটতে শুরু করেছে
চিকন একটা আলো
জানালার সরু ফাক দিয়ে ঘরে ঢুকে আনন্দে নেচে বেড়াচ্ছে
ছুঁয়ে যাচ্ছে আমায়
ঘুরপাক খাচ্ছে
পা থেকে উঠে চুমু খাচ্ছে বুকে, কপালে
আমি,
আধবোজা
শুয়ে ভাবছি তোমায়
এ কি অসুখ!
বলতে পারো?
নিদ্রা ভঙ্গ
গভীর নিদ্রায়
তন্দ্রায় জাগ্রত সবটায়
তোমার সে কি!
দাপুটে বিচরণ।
পড়শি শ্যামলীর
ফিসফিসানি
চাপা সুখের গান ভেসে আসছে
সারা রাত স্বামীর সোহাগে ভিজে
এখন কলপাড়ে স্নানরত।
আমার ও কি! ইচ্ছে করে না
তোমায় শ্যামলী রূপে কাছে টানি
তাড়িয়ে নিজেকে উজাড় করে হারিয়ে
এই ভোরে
নবীন রূপে জ্বলে উঠে
তোমার চওড়া কাঁধে
খোলা চুল থেকে টপটপ করে জল পড়া দেখে
শের ও শায়েরী করি।
ইচ্ছে করে না! বলো
আচ্ছা,
এ কি অসুখ!
এর কি নাম?
কি লক্ষণ?
কখন থেকে
এই পাঁজরে
হাড় মাংসে আগুন ধরিয়ে যাচ্ছে।
আমি পুড়ছি তো পুড়ছি
কেউ দেখার নেই
জগত সংসার ওলট পালট
অসহায় পুরোটা তছনছ
ঈশ্বর আর তুমি
এই দুইয়ে আমি
ডুবি ভাসি
এক একটা শ্বাস
ধরি ছাড়ি।


২৭:০১:১৭। সকাল ০৫:২২ মিনিট।