আঠারো নম্বর ঘর এ থাকতাম
কিন্তু মন চলে যেত প্রায় ২২ নম্বরে
শুধু মন নয় আমিও যেতাম
চোখে পড়ত তোমার রবীন্দ্র প্রেম
মনে হতো তুমি আমারই মত রবীন্দ্র প্রেমী
তুমি শুধু রবীন্দ্র প্রেমী ই ছিলে না
তুমি ও তোমর হৃদয় ছিল হেম পূজারী
তা আমি তোমর মুখে শুনেছি
তোমর যৌবন মুহুর্তে তার আগমন
তুমি তখন স্কূল ছাত্র
সে তোমর থেকে একটু ছোটো
নাম তার হেম নলিনী
আমি ভাবতাম তোমর মিল
কত রবি ঠাকুররের সাথে
দুজনের জীবন মানষির নাম এক
হঠাৎ জানিনা তোমার কি হলো
নবীন বরণে তোমার চোখে
পড়ল মিষ্টি পর্ণাকে
তুমি যেন হেমকে দেখতে পেলে
ওর মাঝে
কিন্তু তুমি ভুল দেখেছিলে তা
প্রমাণ হল কলেজের বারান্দায়
আমি এখনও ভাবি সেই দিনের কথা
এ যেন কোন এক দিনের আবছায়া
আধুনিকের বেড়ার ফঁাক দিয়ে
পুরনো দিনের একটি ছবি মনে এল আমার
স্পর্শ তার করুণ স্নীদ্হো তার কণ্ঠ
অবাক করলো তার কালো চোখের দৃষ্টি
তার হলুদ চুড়িদার সদা ওড়না
ঢেকে রেখেছে তাকে
সে ওড়না উড়িয়ে তোমাকে যেন ডাকল
তুমি ছুটে এলে কিন্তু
তুমি তকে বলতে পাড়লে না
তোমার হৃদয়ের কথা...।