আমি ভ্রমিয়াছি তব এ বিশ্ব-ভুবন সর্বে —
সাধিতে আপন মম জ্ঞাতের উন্নতি,
আমি দিয়াছি পাড়ি কতো যে সাগর-মহাসাগর —
দেশ-মহাদেশ তব ভুলিয়া সর্ব ভীতি ৷
উত্তর হইতে দক্ষিনের মেরু —
পূর্বে করে শুরু পশ্চিমের শেষ সর্বত্র এ ধরিত্রী ৷
আমি দেখেছি সর্ব অসভ্য নগ্নতায় পূর্ণ —
প্রাশ্চাত্ব্যের স্বঘোষিত অভিযাত সভ্য সংস্কৃতি,
হয়েছি মূগ্ধ দেখিয়া মধ্য প্রাচ্যের সেই —
আরব্য রজণীর মোনভোলানীয়া নির্লজ্য লাজবতী,
অামি গিয়াছি কৃষ্ণ মানবদের ভূমি দেখেছি —
গহীন অরণ্যরাজ সিংহ দেখেছি শক্তিমান হাতি,
গিয়াছি আমি কম্পমান ভূমির দেশ —
যেথা থেকে হয় শুরু এ জগতে প্রথম প্রভাতি,
আমি দেখেছি বিশাল প্রাচিরে ঘেরা রাজ্য —
চীন দেশের কতো যে অাজব অদ্ভুত রীতিনীতি,
দেখেছি স্বার্থ হাসিলের তরে আত্বদাম্ভীকতা পূর্ণ —
প্রাশ্চাত্বের সুসন্তানদের কুকীর্তির কতো যে স্মৃতি,
আমি দেখেছি এ ভূবনময় কতো যে জাতির চিহ্ন যাহারা নিজেরা ঘটাইছে নিজেদের ইতি,
আমি দিয়েছি পাড়ি মেরু ঘুরেছি বালুময় মরু —হিংস্র বন্যের অরণ্য দেখেছি ভুবনময় কতোযে জাতি
কোথাও পেয়েছি নগণ্য-জগণ্য-ক্ষুদ্র —
অাবার কোথাও বা সুবিশাল মহা অতি,
হায় ! আমি যে করেছি ক্ষয় বৃথা মোর আয়ুস্কালের
কতো হিসাবহীন দিবস আর কতো যে রাতি,
ভ্রমিয়া সর্ব ভুবনময় তব নাহি পাইলাম খুজিয়া —
কোথাও সম মোর বাংলা মায়ের সৌহার্ধ্য সমপ্রীতি,
সর্ব সমৃদ্ধ সভ্যতা পূর্ণ গৌরব ঘাথাঁ ঐতিহ্য —
সৌহার্ধ্য স্বসাহিত্যে বলবান বাংলা মায়ের সাংস্কৃতি,
সুজল সুফলা শস্য শ্যমলা সবুজে ভরা —
বাংলা মা যে আমার ষড়রূপে রূপবতী,
বাংলা মায়ের রূপ-গৌরব-ইতিহাস ভাবনায় —
গর্বে মম বর্ধন হইলো মোর বুকের ছাতি,
ভাবি মোর ভাবনায় তবে বৃথা নাহি হায় —
মোদের লইতে অধীনে কেন যে বারংবার হেনেছে বহির্জাতী ৷
তাহারা দেখিয়া বাংলা মায়ের রূপ-সৌহার্ধ্য-ঐতিহ্য
হয়েছে লোভি পাইতে মোদের সম্পদ সংস্কৃতি,
হেনেছে মোগল হেনেছে বৃটিশ হেনেছে পাক সেনারদল নিয়ে অসীম গতি,
সর্বদাই মোর বাংলা মায়ের দামাল দল দিয়াছে লাখো বিসর্জন কভূ নাহি করছে স্বীকার নতি,
তাই আজি চিৎকার করে বলি ভালবাসি মা তোমায়, গৌরব অামি তোমার সন্তান,
গর্ব অামার বাঙ্গাঁলী জাতি ৷৷