প্রভাত ফুটেছে সেদিন নিত্য দিনের মতো
জ্ঞানের প্রদীপ জ্বালিয়ে দিতে পাঠশালাতে চলও।
কে ডেকেছে তোমায় সেদিন, আপন মনে বোন?
মৃত্যু যে তোর কাছে এসে, দিয়ে গেল নতুন সুরের গুন।
ভোরের কাছে ঋণী তুমি,ওরে প্রিয় বোন।
প্রভাত পাখি আর ডাকবে নারে বলে,
উঠো আমার সুজুন।
সকাল হলে বাবা-মায়ের আদর লোপে নিয়ে
সুখের হাঁড়ি মুখে মেখে
গেছ কথেন গেয়ে।
সেদিন তোর সাথে যে পথের ধারে ছিল কত সখি
আজ তারা তো কপাল পুড়া
তারাই সর্বনাশী।
সেদিন পড়ার পাকে মন নাচিয়ে কত কিছু শিখলে।
সেই শিখেতো শেষ বিকেলে, তোর শরীরে কাঁটর মতোই বিঁধলে।
একটু খানি সময় যদি তোর হত-রে বোন,
সেদিন মূখ লুকিয়ে আড়াল দিয়ে যেত না-রে তোর মন।
কত সুজনে মন বাঁধিছো সকাল-দুপুর-সাঁজে,
একটুও জানলি না-রে কেন মৃত্যু তুকে খুঁজে।
সুজন স্বজন আজ তারা তো
স্মৃতির কাছে ত্যাগী
সেদিন কেন এমন হল মৃত্যু বৈরাগী।
ক্লান্ত নিয়ে বিকেল ঘেঁষে আসবে বাসে তুমি
আবেগ তখন তাড়াহুড়ায় বাড়ির কথায় বুঝি।
সময় তো আর ক্ষণিক নয় হঠাৎ বাড়ি ফেরার।
হয় তো মনে কাটাও সময় সুজন সনে গল্প চারিতায়,
চালক তখন বাজি দেই রাস্তায় বারটায়।
ফোন কলে মায়ের সাথে কেমন হল কথা?
ক্ষিদে পেটে খাওয়ার কথা জানিয়ে দিলে সুজা।
চালক তখন গাড়িটা-রে যেমন করে টানে,তাও তো বলে দিলে মায়ের কর্ণধারে।
এসব এখন বলবে মায়ে কারে,
তুই তো এখন মায়ের কাছে আকাশ পাতাল দূরে।
আমি বলি তারে চালায় গাড়ি যে রে,
আর এমন করিস না।
বাবা-মায়ের বুকের ধন রে এমনে মারিস না।