বাণের জলে পুঁড়ছে আমার দিনাজপুরের মাঠি,
বাদ যায়নি গাইবান্ধা আর কুড়ি' লালের ঘাঠি।
নিত্য জনের নানান ভাষা হরেক অভিমত,
পানি গুলো বধ করিতে প্রতিবেশীরা দিলো নারে পথ।
একুশ জেলায় ত্রিশ লাখের হয়েছে ক্ষতি ধন,
মৃতের সংখ্যা কত ছিলো নিশ্চিত নই এখন।
রাস্তা রেলের লাইন গুলোতো হয়ে গেছে পোল,
মানুষ গুলো দিক বেদিকে পাচ্ছে নারে কূল।
পাঁচ দিন ধরে ডুবিয়ে ছিলো মানুষ কত শত,
এমন বাণের জল দেখেনি কেউ তিন দশকে গত।
দিনাজপুরের ইয়াসিন আলী বলে ছিলো সেদিন,
আমার ঘরের চাল দ্বারেও পানি ছিলো ক'দিন।
কত কিছু নেবার ছিলো সুযোগ দেয়নি ঢেউ,
পেয়েছি জীবন কোন রকম খোদা তুমি শ্রেয়ও।
জল খাবারের অভাব মিঠে এমন সুযোগ চাই,
দেশ মাতা যে পাল্টে গেছে চিড়া মুড়ি নাই।
নুর জাহানের দু'টি শিশু সঙ্গে স্বামী তার,
আশ্রমেতে বন্দী তারা করছে সময় পার।
এক বেলাতে না হয় তাদের যুগলমিলন বাঁচে,
শিশুর খারার কোথায় পাবে এই চিন্তাতে আছে।
দিনাজপুরের আমন গুলো বামুন খেয়ে গেছে,
দু'লাখ হেক্টর চাষের ফসল পানির নিচে আছে।
ফসল তলা গোল্লায় গেছে বীজ তলা ও নেই,
কোন শালারা দিবে তাদের জল ভাতেতে ঘেই।
গাইবান্ধার বাঁধ গুলোতে ইঁদুর দিয়েছে চাষ,
মনের ভেতর জলের আগুন হচ্ছে তারা লাশ।
ইঁদুর গর্তে পিচ হবে ভাই মিথ্যে গফের বাঁশ,
কৌতুক হাসির গল্প বলে দেশটা করছে নাশ।
বন্ধু ভারত কথা ছিলো দিবে আহার দানি,
ভেস্তা দিলো ভিটা মাটি বাবার কবর খানি।
বাবা তুমি ক্ষমা করো দেশটা আমার মাসির,
মাকে তারা বিকিয়ে দিলো পতিতা করে আশির।