যবে মম হেরিনু তোমারে
কেড়ে নিলে মোর নিশির স্বপন।
কোথা হতে যেন উদিত হইলে?
মনে ভাসে শুধু তোমারি বদন।
তোমারি কথা ভাবিয়া কেনই
নির্ঘুম করি রজনী যাপন?
কুহু কাকলীর কলরবে যেন
ভুলিয়া বসেছি মোর দিনক্ষণ।
চিত্ত কুটুমে আগমন করি
ক্ষান্ত হও নি, ছাড়িয়া আসন?
করিলে কেনই উথলিত মোরে
ব্যাকুলিত করি হৃদ কম্পন?
তোমারি মায়ায় কোথা হারাইনু
কোথা খুজি পাই স্বীয় ভুবন?
মনের অজান্তে হৃদ্যগৃহে
স্থিত যে করেছো তোমারি আসন।
স্নিগ্ধতারই কোন উপমায়
সুরভিত করি, মোর হৃদয়াঙ্গন।
শুভ্রতা তোমা মাঝে বোধ করি
শরতের গোটা শ্বেত কাশবন।
প্রেরণারই কোন রূপ মহিমায়
অভাগারে তুমি করেছো আপন?
রূপক মম হারিয়েছি বটে
হারিয়েছি মম শব্দ ভীষণ।
অদ্যবধি পাই নাই বটে
চিত্রিত হিয়া, তোমার মতন।
সবিশেষ সব গুণে রূপকার
ছন্দে পারি নি, চিত্রাঙ্কন।
শ্রাবণের মেঘ, ফাগুনের ফুলে
বাধিয়াছো তুমি মায়ার বাঁধন।
শুভেচ্ছার সুরে ফসলের ক্ষেত
পুলকিত করে উষার পবন।
প্রভাতেও তব কন্ঠের ডাক
শুনিতে ব্যাকুল পুবের তপন।
পাহাড় ঘেরা বৃক্ষের সারি
স্বাগতে তোমারে আকুল প্রবণ।
অভিধানরে মম শুধাই বারে
অন্বেষা করি কত বিশেষণ।
কোন শব্দে জ্ঞাপন করিব
তোমারে সম্বোধন।