গর্জে উঠো পাগলা ঘোড়া
উচ্চ করি শির।
সব বাধাকে বিদ্ধ করি, অভ্রভেদী তীর।
গর্জে উঠো তিলোত্তমা
পাশ কাটিয়ে ভিড়।
মায়া মমতায় সুবাসিত হোক, বাবুই পাখির নীড়।
গর্জে উঠো দুঃসাহসী
রহিয়া ভীষণ ধীর।
ন্যায্য দাবি মিটিয়ে দিতে, বাদী বিবাদীর।
গর্জে উঠো মুক্তিসেনা
রণপথ যাত্রীর।
মায়ের মুখের সোনার ছেলে, বাবার গড়া বীর।
গর্জে উঠো বিপ্লবীরা,
হাহাকার রাত্রীর।
ক্ষুধার রেশন পৌঁছে দিতে, ঘরে অই অভাগীর।
গর্জে উঠো ক্লান্ত পথিক
ঘরছাড়া মুসাফির।
উষা লগনেই পৌছিতে হবে, মুক্তির মন্দির।
গর্জে উঠো বিদ্রোহী সব,
নজরুল পৃথিবীর।
কেড়ে নিতে হবে স্বীয় অধিকার, স্বাধিকার মুক্তির।
গর্জন ছাড়ো শার্দূল আর
গর্জন ছাড়ো শের।
করুণ চাহনী চেয়ে দেখো সব, সাধারণ মানুষের।
তুফানের মত সাইক্লোন হয়ে
কালবৈশেখী ঝঞ্ঝার ন্যায়
কান্ডারী ছাড়ো গর্জন!
তপ্ত রবির প্রলয়শিখায়
অলক দ্যুলোক ভূলোক ছাড়িয়া
ছাই হয়ে সব বিস্মৃত যাক
মন্দের সমরাঙ্গণ।