হায় বিপ্লবী,
সে কোন নিয়মে?
ঘুমিয়ে আছো যে,
বিভোর স্বপনে ।

তুমি দেখো নাই, মসজিদখানি,
হিন্দুর হাতে গড়া ।
দেখো নাই কভু, মন্দির লাগি,
জমিন দিয়েছে কারা?

আমানতদার মুসলিম ভাই,
হিন্দু ভাইয়ের শক্তি।
আযানের ধ্বনি সম্মানে,
কারা থামালো ভজন-আরতি?

দেখোনি আমার হিন্দু ভাইরে,
মসজিদে দিতে দান ।
হাতে হাত রেখে পতাকা তোলে নি,
হিন্দু মুসলমান?

স্বাধীন দেশের পতাকা চেনে না,
হিন্দু কে মুসলিম?
স্বাধীনতা আভা, মিলিত রক্তে,
চিরকাল রক্তিম ।

দেখলে না হায়, বীরের মাথায়,
হাত বোলানো, সে ছোঁয়া ।
দিদি কি দেয় নি, আশীর্বাদ?
আর বোন কি করে নি, দোয়া?

দেখোনি, উদার চিত্ত মুসলিম
আর হিন্দুর মহিমা ।
সদ্যমৃত মুসলিম ভাইটার লাগি,
কার মুখে কালিমা?
  

তুমি দেখো নাই, হিন্দুর মুখে
কে দিল অন্ন তুলে?
দেখো নি, এতিম মুসলিম শিশু
হিন্দু মায়ের কোলে ।

দেখোনি রোযা রমজান মাসে
মুসল্লিরও ঘরে।
ইফতার কি পৌছেনি সেই
হিন্দু ভাইয়ের তরে।

রোজার আবেগ সম্মানে কারা,
অগোচরে খেলো খানা?
দেখো নি, মুসলিম ভাইরে মেটাতে,
হিন্দু ভাইয়ের দেনা ।

দেখলে না হায়, পুজোর দিনে,
বাড়ি কে পাঠালো মিঠাই?
দেখলে না , ছেঁড়া জা’নামাজখানি,
কার হাতে হলো সেলাই?
  
হিন্দুরা কেন সম্প্রীতি চেয়ে,
মন্দিরে হাত বাঁধে?
আর মুসলিমই কেন সম্প্রীতি চায়?
মসজিদে মোনাজাতে?

কোন ধর্মের কিতাবে লেখা,
যে অন্যরে দাও পীড়া?
দোষীর রক্ত বহন করে না,
সম্প্রদায়ের শিরা ।

সব ধর্মের বিজয় নিশান,
বিনত হয়নি কভু ।
পর ধর্মরে তুচ্ছ করে যে,
তার নাই কোনো প্রভু ।

সাক্ষী চালের দানাখানি হতে,
নিশ্চল উদ্ভিদ ।
এক কাতারেই পাশাপাশি রবে,
মন্দির মসজিদ ।