যদি কভুও ভুলে যাও সবই
ভুলিও না কভু মোরে!
মোদের স্বপন সুখস্মৃতিগুলো
নিয়ো না গো কভু কেড়ে!
বৃষ্টিতে ভেজা ডায়েরীর পাতা!
যদি যায় কভু ছিঁড়ে!
গুজে দিও অই ডায়েরীর পাতা!
শত বেদনার ভিড়ে!
যদি কভুও উড়ে যায় চিঠি!
অকালবৈশাখী ঝড়ে!
মনে রেখো সেই চিঠি লেখা ছিলো,
তোমারি ভাবনা তরে!
যদি খুঁজে পাও রক্তগোলাপ!
পঙ্কিল সরোবরে!
ভাসাইয়া দিয়ো তা কাগুজে নৌকোয়
প্রেম যমুনার তীরে!
পুষ্প কুড়াতে আমার বাগানে
যদি আসো খুব ভোরে!
দেখিবো তখন তোমারেই শুধু,
দেখিবোই চুপিসারে!
যদি তুমি কভু সন্ধ্যাপ্রদীপ,
জ্বেলে দাও মোর ঘরে!
যেন খুঁজে পাই হারানো তটিনী,
ধূসর বালুচরে!
যদি কভুও পৌঁছে চিঠি,
যা গুজিয়েছি কবুতরে!
পরিচয় পাবে আমারি তখন,
আমি এক ভবঘুরে!
যদি তুমি বসো, বটবৃক্ষ ছায়ায়
কাঠফাঁটা রোদ্দুরে।
চাতক হয়েই দেখা দিবো আমি,
তোমাকেই! অচিরে!
আমার অজানা পরিচয়গুলো,
রেখো তুমি সখী আঁকড়ে!
যদি কোনো ভুল ছাড়িতেই নারি,
গোপনেই নিবো শুধরে!
কেন জানি বড় হিম লাগে মোর,
ঢেকে দিও মোরে চাদরে!
আমি শারদকালীন হিমেল হাওয়া,
কাশফুল মাখা ভাদ্রে!
আজ মৃত্তিকাতলে ঘুমিয়ে আছি যে,
কত যেন ঘুমকাতুরে!
যদি যাও সখী, ভুলিয়া সবই,
ভুলিও না শুধু মোরে!