শান্তিনীড়ে কলহ-সুবাস বাতাসে বহিয়া চলে,
জনক জননী কর্কশ স্বরে বিবাদের কথা বলে,
পার হয় ক্ষণ, বিষাদ ভীষণ- গাত্রে তুলিয়া হাত,
নিকটে থাকিলে হাতিয়ার হাতে, প্রবল বেত্রাঘাত!
আমি দ্রষ্টা চাহিয়া দেখি- শান্তিনীড়ের খেলা,
কলহ-বিবাদে ক্ষুধা মেটে মোর, কেঁটে যায় সারাবেলা;
নিয়তে ভাবি বটিখানা তুলে সম্মুখে গিয়ে সোজা,
এক কোপ দিয়া কাঁটিয়া ফেলি আপন ঘটের বোঝা-
চুকে যাক সব ঘোর রেষারেষি, আত্ম খুনের দায়,
রক্তের দামে কলহ বিকায়ে ভাগধেয় কেনা যায়?
তবে তাই হোক, দিয়ে দেবো মোর জীবনের কুরবানী,
তরুণ তাজা রক্তের স্রোতে শান্তি ফিরাইয়া আনি;
ভালো থাক মোর শান্তির নীড়, অবিনাশী হোক সুখ-
মম সমাধির বক্ষ শুষিয়া ভালো থাক প্রিয়মুখ।