কক্সবাজারের অদূরেতে আপনারা কেউ যান যদি
সেখানটাতে দেখতে পাবেন ইতিহাসের নাফ নদী ।
এই নদীতে দুই সীমান্তে সদা স্রোত বয়
মিয়ানমারের বরবরতার কালের সাক্ষী হয়।
অশ্রু জলে সিক্ত হয়ে রোহিঙ্গারা কয়
মিয়ানমারে থাকতে তাদের মনে লাগে ভয় ।
পিশাচের ন্যায় মানুষ মারে পাষন্ড নির্দয়
আগুন দিয়ে পোড়ায় বাড়ি কেমনে মানুষ রয় ?
নারীদেরকে ধর্ষন করে আগুন দিয়ে পুড়ে
কাউকে আবার দেহ কেটে এদিক সেদিক ছুড়ে ।
শিশুদেরকে জবাই করে রাখছে সারি সারি
যুবক ভাইদের কয়লা করে ভরছে তাদের গাড়ি ।
হাত পা কেটে কাউকে আবার ছিন্ন করে দেহ
কড়াই ভরে রক্ত নিয়ে উল্লাস করে কেহ ।
মানুষ মেরে নরপিশাচদের আত্মতৃপ্তি হলে
গাড়ি ভরে এনে তাদের নাফ নদীতে ফেলে ।
শহর জুড়ে এখন শুধু লাশ পোড়া গন্ধ
রাক্ষসীদের নাকে এটা লাগছেনাতো মন্দ ।
তারা ভাবে তাদের এসব হচ্ছেনাতো ফাস
তাইতো তারা মনের সূখে করছে উল্লাস ।
বিশ্বতরে জানছেনা কেউ নেইতো জবাবদিহি
আমার দেশে আমি রাজা কইব কারে কিহি ?
বরবরতার দৃশ্য দেখে শিউরে উঠে গা
নির্মমতা দেখতে দেখতে চলছেনা আর পা ।
যেই শিশুটির জন্ম হল দুই সীমান্তের মাঝে
এই শিশুটি বড় হয়ে মূখ লুকাবে লাজে ।
বিশ্ববাসী নিরব থেকে দেখছে তামাশা
মাতৃহারা শিশুর চোখে বাঁচার প্রত্যাশা ।
নিস্বঃ হবে মুসলমানরা ধ্বংস নিশ্চয়
এমনিভাবেই করবে নাকি রাখাইন জয় ।
মানবতা নিরব কেন জানেন দয়াময়
মুসলমানদের এত কষ্ট কেমনে আল্লা সয় ?
ঘর বাড়ি ছেড়ে এখন মিয়ানমার হতে
লক্ষ লক্ষ শ্মরনার্থী বাংলাদেশের পথে ।
দীর্ঘ সময় পথ পেরিয়ে নাফ নদীতে এসে
নৌকা ডুবে অনেকেই প্রাণ হরালেন শেষে ।
যত কষ্টই হোকনা যেন মানছেনাতো মন
নদী গর্ভে ঝাপ দিয়েছে মাথায় গর্ভের ধন ।
কেউবা আবার মাতা-পিতা ঘাড়ে বহন করে
বাঁচার আশায় শত চেষ্টায় পৌছে এসে তরে ।
বেচেঁ আছেন এখন যারা আপনজনের আশায়
চোখের জল যে বাঁধ মানছেনা কেঁদে বুক ভাসায় ।
মাথা ন্যাড়া জাতি ওরা নাম তাদের বুদ্ধ
দু’হাজারে বেঁধেছিল নাফ নদী যুদ্ধ ।
বাংলাদেশের জোয়ানরা সেদিন হয়েছিলেন ক্ষুদ্ধ
এক এক করে ছয়শ সৈন্য করেছিলেন রুদ্ধ ।
সেই থেকে বাংলাদেশকে হিসেব করে চলে
কোন কিছু বলার আগে বুঝে শুনে বলে ।
শুনলেই মন শিউরে উঠে ওরে বাপরে বাপ !
এই বুঝি সেই ঘাতক নদী কালের সাক্ষী নাফ ।