ছোট বেলায় তুমি আমি ছিলাম খেলার সাথী
বাসা ছিল পাশা পাশি দু’জন এক জাতি ।
কত খেলা খেলেছি মোরা কত দিন রাতি
অনেক সময় দিনের আলোয় জ্বালিয়ে মোম বাতি ।
কত রকম খেলা খেলছি খেলার যে নেই শেষ
বউ জামাইয়ের খেলাগুলো লেগেছিল বেশ ।
ছোট বলে বাবা মায়ের ছিল যে খুব হেলা
বিকেল হলেই উঠুন বাড়ি মিলত খেলার মেলা ।
সেই খেলাতে তুমি আমি সাজতাম জামাই বউ
তোমার সাথে রিষ করিত পাশের বাড়ির মৌ ।
একটু বড় হলে পরে পড়লাম চোখে ধরা
তার পর থেকেই শুরু হল শুধু লেখা পড়া ।
পড়া লেখার ছলে তোমরা গেলে দিনাজ পুরে
মনটা আমার বাঁধ মানে না যায় যে চলে উড়ে ।
বউ জামাইয়ের মর্ম বোঝার বয়স হয়নি সেদিন
হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছি চলে গেলে যে দিন ।
আমি যেমন খুজছি তোমায়, তুমিও আমায় খুজো
খুজার তোমার সময় হইছে যখন তুমি বুঝো ।
গহীন ধু ধু বালুর চরে কৃষ্ণচুড়ার ফুল
তোমার আমার ভালবাসায় নেইতো কোন ভুল ।
কাঁদা মাটির মত মোরা করছি মাখা মাখি
পলক যেন পড়ছেনা আর তোমার আমার আখি ।
অনেক খুজা খুজির পরে এলাম তোমার তরে
অবশেষে পেলাম তোমায় বিশটি বছর পরে ।
কি আর করা ঘুমিয়ে পরা কাটলো দিবা রাতি
বিধির লীলায় আজকে তুমি আমার যৌবন সাথী ।