এই মোহন শীতে আমাতে আর নেই আমি
চারপাশের শব্দগুলো বিক্ষুব্ধ তরঙ্গের মতো
আছড়ে পড়ছে গায়ে। অথচ কোন স্পর্শ অনুভব
করছি না । নেই এতোটুকু অদৃশ্য আলোড়ন।
প্রাত্যহের ভীরুতা, লজ্জা, সন্তাপ মৃদু রোদের মতো জড়িয়ে আছে। স্বপ্নগুলো সারাদেহে আলোকলতার মতো
তবুও আমাতে নেই আমি। এই আমি বড় অচেনা
এক একটা দিন নতুন করে আসছে
খুলছে অপার সম্ভাবনার দ্বার, যেন শুক্তির বুকে
লুকানো মুক্তো। পৃথিবীর ধুলো গায়ে মেখে ছুটছি
ছুটছি অবাক বিস্ময়ে গ্রহান্তরে একজন্মের ব্যথায়
তোমার আমার ভাগ্যলেখা বিধাতার পরিহাস
এ কেমন জীবন দিলে নিষ্ঠুর বাজিকর
পুতুল নাচের খেলা,পথ ফুরোলেই আকুল আঁধার
এই আলো অন্ধকারের ধাঁধাঁয় আমাতে আর নেই আমি
হাতের নাটাই ছুটে গেছে, কেটে গেছে ঘুড়ি
যা কিছু সঞ্চয়, পাথর নুড়ি হারিয়ে ফেলেছি
দিনশেষে। স্মৃতির ঝাপি খুলে শুধুই মলিন পাতা
সকাতর চেয়ে রয় মুখপানে, কী অব্যক্ত ব্যাথায় টানে
মায়ের নাড়ি কাটা যাতনায়। পৌরাণিক গল্প যতো ধুয়ে নিয়ে বর্ষা বাদলে বসিয়েছি তোমার করে, হৃদয়ের দাবী
অথচ এখনো অনড়, অব্যয় তুমি। অনুচ্চারিত শব্দের
যাতনায় এখনো কাতর শর্বরীর নীরব প্রহর। ভুলে গেছি
তবু ভুলিনি। তবুও জীবন করে না ক্ষমা
আজ রাতে আমাতে আর নেই আমি, চেনা অন্ধকার আজ ভীষণ অচেনা